গোয়েন্দাদের সতর্ক দৃষ্টি, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং তল্লাশি— তিনের মিলিত প্রচেষ্টায় মঙ্গলবার কলকাতা বিমানবন্দরে ধরা পড়ল ৭ লক্ষ ৪৩ হাজার ৩০০ বেআইনি ডলার। বেআইনি, কারণ যে সাত বাংলাদেশি নাগরিকের থেকে ওই বিদেশি মুদ্রা মিলেছে, তাঁরা ডলারের বৈধতা প্রমাণে কোনও নথিপত্র দেখাতে পারেননি। ৫ কোটি ৩ লক্ষ ৫৮ হাজার ৫৭৫ টাকা মূল্যের ওই ডলার এবং সাত যাত্রীকে তুলে দেওয়া হয়েছে শুল্ক দফতরের হাতে। মায়ানমার থেকে চোরাপথে যে সোনা ভারতে আসছে, তার বিক্রির টাকাই বাংলাদেশ হয়ে ফেরত যাচ্ছিল বলে গোয়েন্দাদের ধারণা।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রথম ধরা পড়েন সেলিম ব্যাপারি। তাঁর গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় সিআইএসএফ অফিসারদের। যদিও সেলিমের হাতব্যাগ এক্স-রে করে কিছু মেলেনি। শেষে তাঁকে জেরায় জানা যায়, ব্যাগের লুকনো কুঠুরিতে ডলার আছে। সেখান থেকে কালো কার্বন পেপারে মোড়া ৫৫ হাজার ডলার পাওয়া যায়। সেলিম আরও দুই যাত্রীর কথা জানান, যাঁরা একই ভাবে ডলার নিয়ে যাচ্ছিলেন। মহম্মদ সোহাগ ও আব্দুল সর্দার নামে ওই দুই যুবক তখন বিমানে ওঠার জন্য সিকিওরিটি লাউঞ্জে বসেছিলেন। তাঁদের ব্যাগ থেকে বাজেয়াপ্ত হয় মোট ৯২ হাজার ১০০ ডলার।
এখানেই শেষ নয়। দুপুরে এক মহিলা-সহ তিন যাত্রীকে দেখে ফের সন্দেহ হয় সিআইএসএফ অফিসারদের। দেখা যায়, ওই তিন জন একসঙ্গে থাকলেও আলাদা আলাদা ভাবে চেক-ইন করছেন। তল্লাশি চালিয়ে ওই তিন যাত্রী মহম্মদ সোহেল, সুমন সিবলি মাহমুদ এবং যুবতী মণি কামরুন্নাহারের ব্যাগ থেকে মেলে মোট ৪ লক্ষ ৬৯ হাজার ২০০ ডলার। তাঁদের সঙ্গে আর কেউ আছেন কি না জানার জন্য ক্যামেরার সাহায্য নেন গোয়েন্দারা। তাতে দেখা গিয়েছে, বিমানবন্দরের টার্মিনালের বাইরে ওঁরা তিন জন গাড়ি করে এসে নামেন। কাছেই অন্য গাড়ি থেকে নামেন আর এক ব্যক্তি। তিনি তিন যাত্রীর সঙ্গে কথা সেরে টার্মিনালে একা ঢুকে পড়েন।
পরে গোয়েন্দারা দেখেন, সাইদুজ্জামান তুহিন নামে ওই ব্যক্তি সিকিওরিটি চেকের পরে একা বসে আছেন। সঙ্গে ব্যাগও নেই। সন্দেহ হওয়ায় তাঁর চেক-ইন ব্যাগ আনিয়ে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পাওয়া গিয়েছে ১ লক্ষ ২৭ হাজার ডলার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy