খতিয়ে দেখা হচ্ছে পানশালার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। ফাইল চিত্র।
রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল কলকাতার একটি নামী পানশালার এক গায়কের। কী ভাবে ওই গায়কের মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চল্লিশের দেবাশিস দাস বরাহনগরের বিকে মৈত্র রোডের বাসিন্দা। দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি চাঁদনী চক মেট্রো স্টেশন লাগোয়া একটি পানশালায় গায়ক হিসাবে কাজ করেন। দেবাশিসবাবুর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ ওই পানশালারই দুই সহকর্মী তাঁকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন। তাঁরা বাড়ির বাইরে গিয়ে দেখেন, গাড়িতে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন দেবাশিসবাবু। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বরাহনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরিবারের তরফে পুলিশকে জানানো হয়েছে, দেবাশিসবাবুকে বাড়িতে নিয়ে আসা সহকর্মীরা বলেছিলেন, পানশালার শৌচাগারে তিনি পড়ে গিয়েছিলেন। তার পর তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দাস পরিবারের অভিযোগ, শৌচাগারে দেবাশিসবাবু পড়ে যাওয়ার পর কেন তাঁদেরকে ফোন করা হল না? মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে চিকিৎসা না করিয়ে বাড়ি নিয়ে আসা হল কেন, সে প্রশ্নও তুলছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: টালিগঞ্জ থানায় তাণ্ডবের ঘটনায় পিসি পুতুলের পরে এ বার গ্রেফতার ভাইপো আকাশ
আরও পড়ুন: মেয়েদের আত্মরক্ষার পাঠ দিতে কর্মশালা
গোটা ঘটনায় পানশালা কর্তৃপক্ষ এবং দেবাশিসবাবুর সহকর্মীদের বক্তব্যে অসঙ্গতি খুঁজে পাচ্ছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এর পরই তাঁরা বরাহনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু ঘটনাটি কলকাতা পুলিশের বৌবাজার থানা এলাকায় হওয়ায় বরাহনগর থানার পুলিশ সংশ্লিষ্ট থানাকে জানায়।
আরও পড়ুন : পোষ্যদের প্রশিক্ষণে বিশেষ উদ্যান তৈরি বেলগাছিয়ায়
বুধবার সকালেই বৌবাজার থানার আধিকারিকরা ওই পানশালায় যান। সেখানকার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। খতিয়ে দেখা হচ্ছে পানশালার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘ওই গায়কের দেহে বাইরে থেকে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে স্পষ্ট হবে কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে।” তবে গোটা ঘটনায় রহস্য রয়েছে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy