বিধাননগর পুরসভা।
কলকাতার একাংশে আন্ত্রিকের প্রকোপ বিবেচনায় রেখে আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ শুরু করল বিধাননগর পুর প্রশাসন। জলের নমুনা সংগ্রহ থেকে শুরু করে পাইপলাইনে নিয়মিত নজরদারি এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজে গতি বাড়ানো হয়েছে। পুরকর্তাদের অবশ্য দাবি, কলকাতার অবস্থা দেখে নয়, এমন নজরদারি চলে বছরভর। তবে যেহেতু কিছু অঞ্চলে গত দশকে আন্ত্রিক ছড়িয়েছিল, সে জন্য আগেভাগেই এমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
ভূপৃষ্ঠের জলের পাশাপাশি বিধাননগরের বেশ কিছু জায়গায় পৌঁছয় ভূগর্ভের জলও। কিন্তু ওই এলাকায় জল সরবরাহ বা নিকাশির পরিকাঠামো বহু পুরনো। যদিও ইতিমধ্যে কিছু ক্ষেত্রে পরিকাঠামো সংস্কার হয়েছে। নিউ টাউন জলপ্রকল্প থেকে ভূপৃষ্ঠের জল সরবরাহের জন্য পাইপলাইন পাতার কাজ চলছে।
তবুও পাইপলাইনগুলি কী অবস্থায় আছে, নিকাশি নালার অবস্থাই বা কেমন— সে সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে কোথাও নিকাশি নালার সঙ্গে জল সরবরাহের পাইপ যুক্ত হয়ে গিয়েছে কি না। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, জলাধারগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়। সেই জলের নমুনা পাঠানো হয় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে। তার রিপোর্টও সন্তোষজনক।
মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় বলেন, ‘‘আমাদের সময়ে এলাকায় আন্ত্রিক বা জলবাহিত রোগ দেখা যায়নি। তবে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ প্রতি বছরই করা হয়। এ বারেও জল এবং নিকাশি দফতরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ চলছে।’’ মেয়র পারিষদ (জল সরবরাহ) বীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাসেরও বক্তব্য, ‘‘কলকাতায় আন্ত্রিকের প্রকোপ দেখা দিয়েছে বলে আমরা সতর্ক হচ্ছি, এমন নয়। সারা বছরই এ ক্ষেত্রে নজর রাখা হয়।’’
যদিও এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, পুরসভার এমন উদ্যোগ বছরভর দেখা যায় না। পাঁচ-সাত বছর আগেও কিছু এলাকায় আন্ত্রিক হয়েছিল। সে কথা মাথায় রেখে পুরসভা পদক্ষেপ করলে ভাল। তবে কলকাতায় যে ভাবে আন্ত্রিক ছড়িয়েছে, তাতে আশঙ্কা থেকেই যায়। যদিও আশঙ্কা উড়িয়ে নিকাশি দফতরের মেয়র পারিষদ দেবাশিস জানার দাবি, বিধাননগরে জলবাহিত রোগ আগে দেখা যায়নি। হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। তবু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy