—ফাইল চিত্র।
সল্টলেকের বিভিন্ন ব্লকের ভিতরের রাস্তায় পর্যাপ্ত আলোর অভাব নিয়ে বাসিন্দাদের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। বিধাননগর পুরসভা এ বার আশ্বাস দিয়েছে, ওই সমস্ত রাস্তায় এলইডি আলো বসানো হবে। তবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছু দিন।
সম্প্রতি এক রাতে এফই ব্লকে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন দুই বোন। পিছন থেকে এসে ওই দুই তরুণীর এক জনের হাতব্যাগ ছিনিয়ে পালায় এক যুবক। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ছিনতাইয়ের ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে, সেখানে পর্যাপ্ত আলো ছিল না। তাঁদের দাবি, অন্ধকারের সুযোগ নিয়েই ওই দুষ্কৃতী পালিয়ে যায়।
ওই ব্লকের আবাসিক সংগঠনের সম্পাদক কল্লোল দত্তের অভিযোগ, “মাঝেমধ্যেই দেখা যায়, কোনও রাস্তার আট-দশটি বাতিস্তম্ভের দু’-তিনটিতে আলো জ্বলছে না। অভিযোগ জানালে ঠিক করলেও আলোর জোর খুব কম।”
স্থানীয় ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের পুর কোঅর্ডিনেটর নীলাঞ্জনা মান্নাও স্বীকার করে নিয়েছেন যে, রাস্তা আরও আলোকিত থাকলে পুলিশের পক্ষেও নজরদারি চালাতে সুবিধা হয়। বিধাননগর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তীর আশ্বাস, “সল্টলেকের প্রতিটি ব্লকের প্রতিটি রাস্তায় এলইডি আলো বসবে। এই পরিকল্পনা অনেক দিনের। কিন্তু কোন সংস্থা কাজ করবে, তা নিয়ে টালবাহানা চলেছে। এখন নতুন করে ই-টেন্ডারের মাধ্যমে একটি সংস্থাকে বাছা হয়েছে। নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত টাকা চলে আসবে।”
আইএ ব্লক কমিটির সম্পাদক সুখদেব সাহা যেমন জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে ইতিমধ্যেই স্থানীয় পুর কোঅর্ডিনেটর মিনু চক্রবর্তীর কথা হয়েছে। ব্লকের ভিতরে আলোর অভাব মেটাতে এলইডি বসবে। তিন নম্বর সেক্টরের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর মিনু চক্রবর্তীর কথায়, “যেখানে যেখানে আলোর অভাব ছিল, কাউন্সিলর তহবিল থেকে সেখানে আলোর ব্যবস্থা করছি। এলইডি লাগানো শুরু হবে।”
সাম্প্রতিক ছিনতাইয়ের ঘটনা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে এক পুলিশকর্তা দাবি করেন, ইদানীং চুরি-ছিনতাই অনেক কমেছে। তবে সল্টলেকে দুষ্কৃতীদের অবাধ যাতায়াত আটকানো যাচ্ছে না। রাস্তায় আলো বাড়লে টহলদারির ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে। সেই সঙ্গে বড় রাস্তাগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসালে চুরি-ছিনতাই আরও কমবে বলছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy