ফাইল চিত্র।
বকেয়া কর না মেটানোর অভিযোগে এলাকার একটি বৃহৎ হোটেল-সহ কয়েকটি বাণিজ্যিক সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে চলেছে বিধাননগর পুরসভা।
সল্টলেকের একটি বিলাসবহুল হোটেল এবং ভিআইপি রো়ডের উপরে একটি মিষ্টি প্রস্তুতকারী সংস্থার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে পুরকর না দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। একই অভিযোগ রয়েছে গয়না নির্মাণ ও বিক্রয়কারী একটি সংস্থার বিরুদ্ধেও। পুরসভা সূত্রের খবর, ওই সংস্থাগুলি দীর্ঘদিন ধরে কয়েক লক্ষ টাকা কর বকেয়া রেখে দিয়েছে। পুরকর্তাদের অভিযোগ, ক্ষমতাশালী ব্যবসায়ী গোষ্ঠী হওয়ায় ওই সব সংস্থাগুলি পুরসভার আবেদনে গুরুত্ব দেয় না। ফলে এ বার আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পথে হাঁটছেন পুরকর্তারা।
বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত বলেন,‘‘যদি কেউ মনে করেন যে তিনি চুপ করে বসে থাকবেন, থাকতেই পারেন। তবে আমরা চুপ করে থাকব না। আমি শনিবার নির্দেশ দিয়েছি ওই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার।’’ কয়েক মাস আগেই বাইপাসের ধারে ওই হোটেলের
বিরুদ্ধে ট্রেড লাইসেন্স না থাকার অভিযোগ করেছিলেন সব্যসাচী। সেই প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কাছে ওই হোটেলটির ট্রেড লাইসেন্সের কোনও তথ্য নেই। পাশাপাশি ওই হোটেলের ভিতরে একাধিক বেআইনি নির্মাণ হয়েছে। যেগুলির নকশা পুরসভা কোনও ভাবেই অনুমোদন করেনি। আমি পুরসভার আধিকারিকদের বলেছি এই বিষয়গুলি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে।’’
উল্লেখ্য, বিধাননগরের সম্পত্তি কর পুরনো হারেই আদায় করা হয়। করুণাময়ী হাউজ়িং-সহ আবাসিক এলাকার অনেক জায়গাতেই সেই করের পরিমাণ যথেষ্ট কম। ফলে এই ধরনের বাণিজ্যিক সংস্থার কর থেকেই পুরসভার রোজগারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ আসে।
এক পুরকর্তা জানান, গত বছর অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ চলার সময়ে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সংস্কারের কাজ করা সত্ত্বেও পুরসভা কোনও টাকা পায়নি। এমনকি ওই ফুটবল প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে পুরসভার অধীন না হওয়া সত্ত্বেও সল্টলেকের অনেক রাস্তাও সারাই করছে পুরসভা। বইমেলার জন্য গত বছর প্রতিদিন সেন্ট্রাল পার্ক থেকে বিপুল পরিমাণে জঞ্জাল অপসারণ করতে হয়েছিল। সে টাকাও রাজ্য প্রশাসন থেকে পাওয়া যায়নি। যার জেরে ঠিকাদারদের টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। ফলে পুজোর আগে রাস্তা সারাইয়ের কাজও ঠিক মতো হয়নি বলে দাবি পুর আধিকারিকদের।
ফলে এ বার বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির থেকে বকেয়া উদ্ধারে তৎপর হচ্ছে পুরসভা। সূত্রের খবর, সল্টলেকের ওই হোটেল এবং ভিআইপি রোডের ওই মিষ্টি প্রস্তুতকারী সংস্থা দু’টির বিরুদ্ধেই কঠিন ব্যবস্থা নিতে চাইছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy