প্রতীকী ছবি।
মুচিবাজারে হাঙ্গামার ঘটনায় আরও তিন জনকে গ্রেফতার করল উল্টোডাঙা থানা। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম অমিত দাস, গৌতম দাস এবং ভিকি দাস। তারা সকলেই স্থানীয় বাসিন্দা। সোমবার ভোর সা়ড়ে চারটে নাগাদ ওই এলাকা থেকেই তাদের পাকড়াও করা হয়।
এই ঘটনায় শনিবার গ্রেফতার হয়েছিল দুই অভিযুক্ত বাবলু সিংহ ও পাপ্পু সাঁতরা। রবিবার ধরা হয় বিল্টু শীল এবং লাল্টু দাসকে। অভিযোগ রয়েছে রতন দাস ওরফে হাবা নামে স্থানীয় এক দাপুটে ব্যক্তির বিরুদ্ধেও। যদিও পুলিশের দাবি, হাবার বিরুদ্ধে কোনও মামলা হয়নি। অভিযুক্তদের তালিকায় এখনও তার নাম নেই।
শিয়ালদহ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অরূপ চক্রবর্তী জানান, মুচিবাজারের গোলমালের ঘটনায় দু’টি মামলা হয়েছে। একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন এক মহিলা, দ্বিতীয়টি পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে করেছে। অমিত, গৌতম ও ভিকি দু’টি মামলাতেই অভিযুক্ত। বিচারকের কাছে তিন ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর আর্জি জানানো হলে তিনি তাদের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। মুচিবাজারের ঘটনায় এক মহিলাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগও উঠেছে। নিগৃহীতার গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে মুচিবাজারে ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে গোলমাল বাধে। সেই গোলমাল শনিবার দুপুরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্তেরা দল বেঁধে অভিযোগকারিণীর ছেলের বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের গুদাম ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে পুলিশকর্মীদের হেনস্থা করা হয়। আর এক মহিলাকে যৌন হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত। কিন্তু তারা ফেরার। ধৃতদের জেরা করে ওই অভিযুক্তদের হদিস পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। রতন দাস ওরফে হাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও তাকে অভিযুক্তের তালিকায় রাখা হল না কেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে। তদন্তকারীদের একটি সূত্রের অবশ্য দাবি, প্রাথমিক তদন্তে হাবার বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ নেই। কিন্তু এই গোলমালের পিছনে তার ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে নাম উঠে এলে গ্রেফতার করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy