মোবাইলে কথা বলতে বলতে বাইক চালানোর জন্য যুবকের পথ আটকে ছিলেন বিধাননগর কমিশনারেটের ট্র্যাফিক ইনস্পেক্টর। কিন্তু নিজেকে প্রভাবশালী জাহির করতে মোবাইলের অপর প্রান্তে রাজ্য পুলিশের এক পদস্থ কর্তা রয়েছেন বলে দাবি করে সেটি ট্র্যাফিক ইনস্পেক্টরকে ধরিয়ে দেন ওই যুবক। সন্দেহ হওয়ায় নম্বরটি যাচাই করার জন্য একটি বিশেষ অ্যাপে ফেলতেই যুবকের কীর্তি ফাঁস হয়ে যায়। অবশেষে শনিবার রাতের এই ঘটনায় এন্টালির বাসিন্দা রিয়াজউদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার রাতে সিডি ব্লকের কাছে গাড়ি ও বাইকের কাগজপত্র পরীক্ষা করছিল সল্টলেকের ট্র্যাফিক পুলিশ। সেই সময়ে ওই রাস্তা দিয়ে মোবাইলে কথা বলতে বলতে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন রিয়াজউদ্দিন। ট্র্যাফিক ইনস্পেক্টরের চোখে পড়লে তিনি রিয়াজউদ্দিনের পথ আটকান। পুলিশ সূত্রের খবর, শুরু থেকেই হম্বিতম্বি করে পার পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন অভিযুক্ত। তাতে কাজ না হওয়ায় ওই যুবক কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিককে ফোন ধরিয়ে দাবি করেন, অন্য প্রান্তে এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) অনুজ শর্মা রয়েছেন। ফোনে থাকা ব্যক্তি অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলেন। কথা না বাড়িয়ে ফোন রেখে দেন ট্র্যাফিক ইনস্পেক্টর। তবে সন্দেহ হওয়ায় নম্বর যাচাইয়ের একটি মোবাইল অ্যাপে সেটি দিলে অন্য ব্যক্তির নাম ভেসে ওঠে। এর পরেই নিশ্চিত হয়ে সাইবার ক্রাইম বিভাগের সাহায্য নেন ওই পুলিশকর্মী।
এই প্রক্রিয়া যখন চলছে তখন ফের ফোনে এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) রয়েছেন দাবি করে ট্র্যাফিক ইনস্পেক্টরকে মোবাইলের কথা বলার জন্য বলেন রিয়াজউদ্দিন। এ বার রীতিমতো হুমকির সুরে কথা বলেন রাজ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তার নাম ভাঙিয়ে কথা বলা ওই ব্যক্তি। গোটা ঘটনাটি শীর্ষ কর্তাদের জানালে তৎক্ষণাৎ রিয়াজউদ্দিনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে রিয়াজউদ্দিনকে গ্রেফতার করে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, যে ব্যক্তি উচ্চপদস্থ কর্তার ভুয়ো পরিচয় দিয়ে কথা বলছিলেন তিনি এক পুলিশকর্মীর আত্মীয়। যদিও বিষয়টি স্বীকার করেনি বিধাননগর পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy