রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভা এলাকাকে নিয়ে বিধাননগর পুর নিগম গঠনের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করল বিজেপি। বিধাননগর বিজেপির নেতা অশোক সরকার বৃহস্পতিবার জানান, বিধাননগরের সঙ্গে রাজারহাট-গোপালপুরের চরিত্র মেলে না। তাই ওই দুই এলাকা মিলিয়ে তৈরি হওয়া পুর নিগমকেও তাঁরা মানছেন না। আজ, শুক্রবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুরের এজলাসে মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা।
সল্টলেক বা বিধাননগরের সঙ্গে রাজারহাট-গোপালপুরের চরিত্রগত তফাত কোথায়, আবেদনকারীরা তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। বিজেপির অভিযোগ, বিধাননগরের জমি ‘লিজ হোল্ড’। ওখানে ৯৯৯ বছরের লিজে জমি দিয়েছিল সরকার। তা হস্তান্তরের অধিকার থাকলেও বিক্রির অধিকার নেই নাগরিকদের। তা ছাড়া বিধাননগরে বাড়ি তৈরির জন্য ন্যূনতম দু’কাঠা জমি লাগবেই। অথচ রাজারহাট-গোপালপুর এলাকায় পৌনে এক কাঠা জমিতেও বাড়ি হতে পারে। জমি-বাড়ি বিক্রির উপরেও কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই সেখানে।
অশোকবাবুর প্রশ্ন, ‘‘একই পুর নিগমের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। অথচ দু’জায়গার মানুষকে দু’রকম নিয়ম মানতে হবে কেন? আমরা এই নিগম মানছি না। তাতে যদি ভোটে দেরি হয় তো হবে। প্রয়োজনে আমরা সুপ্রিম কোর্টেও যাব।’’ এই নিয়ে আগেই একটি মামলা করেছিল বিজেপি। শুক্রবার সেটিরও শুনানি হওয়ার কথা বলে জানান অশোকবাবু।
মাস দুয়েক আগে বিধাননগর পুরসভার বোর্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে। রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার বোর্ড ভেঙেছে এক বছরেরও বেশি। নাগরিকদের অভিযোগ, সরকারের তরফে প্রশাসক নিযুক্ত হলেও পুর-পরিষেবার বেহাল দশা। ৩ অক্টোবর ওখানে ভোট হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই অবস্থায় প্রশ্ন তুলে মামলা ঠুকেছে বিজেপি।
বিধাননগর টাউন তৃণমূলের সভাপতি তথা পুর নিগমের প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য সব্যসাচী দত্তের বক্তব্য, কর্পোরেশন বা নিগম গঠন করে নির্বাচন করার নির্দেশ তো সর্বোচ্চ আদালতই দিয়েছে। লিজ হোল্ড কিংবা ফ্রি হোল্ডের সমস্যার সমাধান আইনি পথেই করা যেতে পারে। ‘‘তবে যে-কেউ আদালতে যেতে পারেন। আসলে এটা বিজেপির প্রচারে থাকার কৌশল,’’ বলেন সব্যসাচীবাবু। তিনি জানান, মামলা করে ভোট পিছিয়ে দিলে নাগরিকেরাই সমস্যায় পড়বেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy