Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
Crime

পুলিশ আবাসনে মদের আসর! প্রতিবাদ করায় পুলিশের হাতেই মার খেলেন কমিশনারের দেহরক্ষী

প্রকাশ্যে এ ভাবে আবাসনের ভিতরে বসে মদ্যপানের প্রতিবাদ করেন তিনি। এর পরেই অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন আসরে বসা ওই যুবকেরা। সুখসাগরের কথায় গুরুত্ব না দিয়ে, উল্টে তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক লাথি-ঘুসি মারা হয় বলে অভিযোগ।

আক্রান্ত পুলিশকর্মী। নিজস্ব চিত্র।

আক্রান্ত পুলিশকর্মী। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৮ ১৭:৪০
Share: Save:

দশমীর রাতে টালিগ়ঞ্জ পুলিশ লাইন আবাসনে চত্বরে মদ্যপান করছিলেন বেশ কয়েক জন যুবক। তারই প্রতিবাদ করায় অ্যাসিসট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার এক কর্মী সুখসাগর সিংহকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ব্যক্তি চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অজয় কুমারের দেহরক্ষী।

মারধরের এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের এক সার্জেন্ট, এক হোমগার্ড এবং দমকলের এক কর্মী জড়়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। মদের আসরে বেশ কয়েক জন বহিরাগতও ছিলেন বলে আবাসনের বাসিন্দাদের একাংশের দাবি। ওই বহিরাগতদের কয়েক জনের বাবা প্রাক্তন পুলিশকর্মী বলে জানা গিয়েছে।

শুক্রবার রাতে পুলিশ আবাসনের ভিতরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। সেখান থেকে একটু দূরে মদের আসরে বসে কয়েক জন যুবক অশ্লীল আলোচনা করছিলেন। বিষয়টি বেশ কিছু ক্ষণ ধরে লক্ষ করছিলেন সুখসাগর। তার পরই ওখান থেকে ওই যুবকদের চলে যেতে বলেন তিনি। প্রকাশ্যে এ ভাবে আবাসনের ভিতরে বসে মদ্যপানের প্রতিবাদ করেন তিনি। এর পরেই অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন আসরে বসা ওই যুবকেরা। সুখসাগরের কথায় গুরুত্ব না দিয়ে, উল্টে তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক লাথি-ঘুসি মারা হয় বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: দশমীর রাতে বরাহনগরে আক্রান্ত প্রবাসী দম্পতি, গাড়ি ভাঙচুর

আক্রান্ত পুলিশ কর্মীর ছেলে ঋষিকেশ সিংহ বলেন, ‘‘প্রতিবাদ করায় ওরা ঘিরে ধরে এমন মারধর করে যে, বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় অচৈতন্য হয়ে পড়েছিল। দমকলের কর্মী বুবাই সামন্ত, কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট অনীশ হাঁসদা, হোমগার্ড শিবকুমার সিংহ এবং প্রাক্তন এক পুলিশকর্মীর ছেলে সিদ্ধার্থ পাল এই ঘটনায় জড়িত।’’

এখানেই বসেছিল মদের আসর। নিজস্ব চিত্র।

আরও পড়ুন: বাইকে স্টান্টবাজি দেখাতে গিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে মৃত্যু কিশোরের

সুখবিন্দর সিংহ এতটাই আহত হন যে, তিনি আবাসনে নিজের ঘর পর্যন্ত পৌঁছতে পারেননি। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করেন তাঁর পরিজনেরা। এই ঘটনার পর গভীর রাতে যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। শনিবার সকালে ওই এএসআই-এর মেডিক্যাল টেস্ট হয়। অভিযোগ পেয়ে বুবাই এবং শিবকুমারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু, ঘটনায় অন্য দুই অভিযুক্ত অনীশ এবং সিদ্ধার্থ এখনও পর্যন্ত পলাতক। কেন এক জন পুলিশকর্মীকে এ ভাবে মার খেতে হল, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ কর্তারা।

(কলকাতার ঘটনা এবং দুর্ঘটনা, কলকাতার ক্রাইম, কলকাতার প্রেম - শহরের সব ধরনের সেরা খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE