Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus Lockdown

বিক্রি সামান্য, ভেজা বই সরাতেই দিন পার

মঙ্গলবারও অবশ্য বন্ধ ছিল অনেক দোকান ও প্রকাশনী সংস্থা। খোলেনি ফুটপাতের বেশির ভাগ স্টলও।

শুকোতে দেওয়া হয়েছে ভেজা বই।—ছবি পিটিআই।

শুকোতে দেওয়া হয়েছে ভেজা বই।—ছবি পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২০ ০১:২২
Share: Save:

দু’মাস পরে দোকান খুলে প্রায় অর্ধেক জলে ভেজা বই ফেলে দিতে হল কলেজ স্ট্রিটের বই ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ী ও প্রকাশকেরা জানালেন, মঙ্গলবার ভেজা বই ফেলতে ফেলতেই দিন কেটেছে তাঁদের। বিক্রি যে একেবারে হয়নি তা নয়, তবে খুবই কম।

একটি পাঠ্যবই প্রকাশনা সংস্থার এক আধিকারিক তরুণ সরকার জানান, লকডাউন এবং ঘূর্ণিঝড়— এই দুই বিপর্যয়ের পরে এ দিন দোকান খোলার পরে বিক্রি হয়েছে আইসিএসই এবং সিবিএসই বোর্ডের নবম, দশম, একাদশ শ্রেণির বই। তরুণবাবু বলেন, ‘‘সোমবার থেকেই অনুমতি ছিল। কিন্তু ইদ থাকায় বেশির ভাগ দোকানই খোলেনি। এ দিন তুলনায় বেশি খুলেছে।’’ অনির্বাণ মজুমদার নামে এক ক্রেতা জানালেন, কলেজ স্ট্রিট খুলেছে জানতে পেরে তিনি মানিকতলা থেকে হেঁটে পাঠ্যবই কিনতে এসেছেন।

মঙ্গলবারও অবশ্য বন্ধ ছিল অনেক দোকান ও প্রকাশনী সংস্থা। খোলেনি ফুটপাতের বেশির ভাগ স্টলও। মহাদেব সাহা নামে এক বিক্রেতা জানালেন, কফি হাউসের উল্টো দিকের ফুটপাতেই রয়েছে ১০০টির বেশি স্টল। তার মধ্যে এ দিন খুলেছে মাত্র ৪০টির মতো। যাঁদের দূরে বাড়ি, তাঁরা বেশির ভাগই আসতে পারেননি। এ দিন যে ক’টি দোকান খুলেছে, তার বেশির ভাগই পাঠ্যবইয়ের দোকান। লকডাউন চলার সময়ে পরিচিত ক্রেতারা অনেকে বারবার ফোনে জানতে চেয়েছেন, কবে দোকান খুলবে। মঙ্গলবার তাঁরা এসে পাঠ্যবই নিয়ে গিয়েছেন। এ দিন বিক্রেতারা কিছু বই বিনামূল্যেও দিয়ে দেন ক্রেতাদের।

তবে দোকান খোলার অনুমতি পেয়ে খুশি বিক্রেতা ও প্রকাশকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রতিকূলতার মধ্যেই তাঁরা যাবতীয় বিধি মেনে আবার ব্যবসা শুরু করছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ এবং প্রেসিডেন্সি পাবলিকেশন সোসাইটি একযোগে বইপাড়ার পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE