দিয়া দাস
বেলা ১১টা পর্যন্ত সে কোনওমতে কথা বলেছে। এর পরে বেলা যত গড়িয়েছে, মেয়ে ততই নিস্তেজ হয়ে পড়েছে বলে জানাচ্ছে ছয় হাসপাতাল ঘুরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অগ্নিদগ্ধ শিশু দিয়া দাসের পরিবার। দিয়ার মেসো সুজিত দাসের কথায়, ‘‘সন্ধ্যার পর থেকে মেয়েটার কোনও সাড়াশব্দ নেই। চিকিৎসকেরাও আশা দেখছেন না।’’
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় গোবরডাঙা ইছাপুর এলাকার বাসিন্দা সাড়ে পাঁচ বছরের দিয়া অগ্নিদগ্ধ হয়। ওই রাতেই তাকে হাবড়া হাসপাতাল হয়ে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে শনিবার তাকে কলকাতায় নিয়ে যেতে বলা হয়। এর পর থেকেই এনআরএস, এসএসকেএম, শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল, বি সি রায় শিশু হাসপাতাল এবং আর জি করের মধ্যে দিয়াকে নিয়ে ছুটে বেড়াতে হয় পরিবারকে। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ আর জি কর ভর্তি নেয় দিয়াকে। দিয়ার চিকিৎসক রূপনারায়ণ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মেয়েটির অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। শরীরের ৯৫ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। ফুসফুসেও প্রচুর ধোঁয়া ঢুকেছে।’’ হাসপাতালের তরফে এ দিন দাবি করা হয়, রোগীকে আইসিইউ-তে রেখে সব ধরনের চেষ্টা হচ্ছে। শিশুর বাবা রঞ্জিত দাস বলেন, ‘‘এই চেষ্টাটাই শনিবার সকালে কোনও হাসপাতাল কেন করল না?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy