প্রতীকী চিত্র।
সরকারি সাহায্য নিতে অস্বীকার করে ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতেই অনড় অধিকাংশ বাসমালিক। শনিবার ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর আন্তরিকতাকে স্বাগত। কিন্তু ডিজ়েল-সহ অন্য খরচ যে হারে বেড়েছে, তাতে দিনে দু’হাজার টাকা করে ক্ষতি হচ্ছে। ৫০০ টাকার সরকারি সাহায্যে তা পুষিয়ে ওঠা অসম্ভব। তাই এটা ভাড়া বৃদ্ধির বিকল্প হতে পারে না।’’
সংগঠনের অধীনে থাকা উত্তর ও মধ্য কলকাতার ৩১টি রুটের বাসমালিকেরাও এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন। ফলে পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়া নিয়ে সংশয় থেকেই গেল। আগামী তিন মাস রাজ্যের ছ’হাজার বাস ও মিনিবাসের জন্য মাসে ১৫ হাজার টাকা করে সাহায্য ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, করোনা পরিস্থিতিতে ভাড়া না বাড়ানোর আবেদনও জানিয়েছিলেন। এ বিষয়ে আজ, রবিবার বাসমালিকদের নিয়ে বৈঠকের ডাক দিয়েছে ‘জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটস’। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সরকারি সাহায্য নিয়ে বিভাজনের বিরুদ্ধে আমরা। জেলা ও শহরে একই বিজ্ঞপ্তি চাই।’’ সরকারের ‘উৎসাহ ভাতা’ যে ভাড়া বৃদ্ধির বিকল্প হতে পারে না, সে কথা জানান তপনবাবুও।
সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে আজ, রবিবার বৈঠকে বসছে ‘বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট’ এবং ‘অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতি’। ‘মিনিবাস অপারেটর্স কোঅর্ডিনেশন কমিটি’র যুগ্ম সম্পাদক স্বপন ঘোষ সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও বলেন, ‘‘যা মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে, তাতে এই ব্যবস্থা কোনও স্থায়ী সমাধান নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy