দুমড়েমুচড়ে: দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই গাড়িটি। (ইনসেটে) অক্ষয় নায়েক। —নিজস্ব চিত্র।
ফের দুর্ঘটনা ভিআইপি রোডে। তেঘরিয়ার পরে এ বারের ঘটনাস্থল বাগুইআটির জোড়ামন্দির। সোমবার তেঘরিয়ায় রাস্তা পার হওয়ার সময়ে বাসের ধাক্কায় মারা গিয়েছিলেন এক মহিলা। মঙ্গলবার ভোরে জোড়ামন্দিরের কাছে অ্যাপ-ক্যাবের সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল ক্যাবচালকের। মৃতের নাম অক্ষয় নায়েক (৪০)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি গাড়ির আরোহী। ট্রাকটি আটক করেছে পুলিশ। চালকের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, গড়িয়ার ব্রহ্মপুরের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। অফিসের কাজের জন্য এ দিন তাঁর ডিব্রুগড় যাওয়ার কথা ছিল। সেই মতো ভোর চারটে নাগাদ বিমানবন্দর যাবেন বলে তিনি একটি অ্যাপ-ক্যাব বুক করেন। গাড়িটি ভিআইপি রোডের সার্ভিস রোড ধরে যাচ্ছিল। অন্য দিকে, মূল রাস্তা ধরে একই দিকে যাচ্ছিল গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই দশ চাকার একটি ট্রাক। পুলিশ জানিয়েছে, জোড়ামন্দিরের কাছে ট্রাকটি আচমকাই ইন্ডিকেটর না দিয়ে বাঁ দিকে চলে আসে। ক্যাবচালক সেটিকে পাশ কাটিয়ে এগোতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারান। তীব্র গতিতে গিয়ে গাড়িটি ট্রাকে ধাক্কা মারে। ধাক্কার অভিঘাত এতটাই ছিল যে, গাড়ির বনেট-সহ সামনের অংশ ট্রাকের নীচে ঢুকে যায়।
বিকট শব্দ পেয়ে ছুটে আসেন আশপাশের লোকজন। খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিশও। নজরুলকে উদ্ধার করে প্রথমে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, পরে বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ওই যুবকের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্য দিকে, কোনও ভাবেই অ্যাপ-ক্যাবটির চালক অক্ষয়কে উদ্ধার করতে না পেরে স্থানীয়েরা গাড়ির সামনের অংশ কেটে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় বার করেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওই ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। জানা গিয়েছে, অক্ষয়ের বাড়ি খিদিরপুরে। তাঁর স্ত্রী ও এক ছেলে রয়েছেন। অক্ষয়ের পরিবার দাবি করেছে, সাধারণত নাইট ডিউটি করতেন তিনি। গতি নিয়ন্ত্রণে রেখেই গাড়ি চালাতেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, অত ভোরে রাস্তা ফাঁকা থাকায় চালকেরা বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালান। অনেক ক্ষেত্রেই ইন্ডিকেটর ছাড়া গাড়িগুলি মূল রাস্তা থেকে সার্ভিস রোডে চলে আসে বা সার্ভিস রোড থেকে মূল রাস্তায় উঠে পড়ে। যার জন্য ঘটে দুর্ঘটনা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, এই গাড়িটির গতিও খুব বেশি ছিল। তারা জানিয়েছে, ভোরের রাস্তায় সিগন্যাল চালু থাকে। গতি নিয়ন্ত্রণে জায়গায় জায়গায় দেওয়া থাকে গার্ডরেল। তা সত্ত্বেও চালকদের একাংশ সচেতন হচ্ছেন না। এ দিনের ঘটনাই তার প্রমাণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy