Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

দেগঙ্গায় ভবঘুরেকে গণপিটুনি, উদ্ধার করল পুলিশ

পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি ছেলেধরা নয়, মানসিক ভারসাম্যহীন। ফলে তাঁর পরিচয়ও জানা যায়নি। তবে কারা মারধর করল সে ব্যাপারে খোঁজ শুরু হয়েছে।

—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:৪৬
Share: Save:

ছেলেধরা সন্দেহে বুধবার দেগঙ্গা থানার চাঁপাতলার চাঁদপুর অবৈতনিক বিদ্যালয়ের সামনে গণপিটুনিতে আক্রান্ত হলেন এক ভবঘুরে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই ভবঘুরেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি ছেলেধরা নয়, মানসিক ভারসাম্যহীন। ফলে তাঁর পরিচয়ও জানা যায়নি। তবে কারা মারধর করল সে ব্যাপারে খোঁজ শুরু হয়েছে।

স্থানীয়েরা জানান, ছেলেধরা বলে গুজব রটে গিয়েছিল। তার পরে পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা ওই ভবঘুরেকে মারধর করে। এবং আটকেও রাখে। পরে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান জনতার হাত থেকে জখম ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন। তাঁকে স্কুলের মধ্যে নিয়ে কোনওমতে রক্ষা করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্বাস আলি মণ্ড ল বলেন, ‘‘বাচ্চারা স্কুলে যাচ্ছিল। সেই সময় খবর আসে, ছেলেধরা বেরিয়েছে। নিমেষে ভিড় জমে গিয়ে শুরু হয় মারধর।’’ সুনীতা কর্মকার নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘‘ছেলেধরার খবর শুনে ভয়ে আমরা ছুটে এসে দেখি লোকটার গায়ের চাদর গলায় পেঁচিয়ে চলছে চড়-থাপ্পড়।’’

ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রুহুল বায়েন বলেন, ‘‘আমরা ছেলটিকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দিই।’’ স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরী বলেন, ‘‘গুজবের ভিত্তিতেই এক জন ভবঘুরেকে মারধর করা হয়েছে। প্রচার করা হচ্ছে গুজব ছড়াবেন না, কান দেবেন না তাতেও মানুষ সচেতন হচ্ছে না।’’

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন ঘটনা ঠেকাতে পুলিশকে সক্রিয় হতে বলেছেন। পুলিশের দাবি, মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lynching Police Crime Violence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE