কলকাতা হাইকোর্ট।—ফাইল চিত্র।
ভ্রুণের শারীরিক ত্রুটির কথা তুলে ধরে গর্ভপাতের অনুমতি চেয়েছিলেন কলকাতার এক দম্পতি। ২৯ সপ্তাহের মাথায় গর্ভপাতের আবেদনে সাড়া দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
যদিও সিঙ্গেল বেঞ্চে সেই আবেদন খারিজ হয় গিয়েছিল। পরে মামলাটি ওঠে ডিভিশন বেঞ্চে। সোমবার চিকিৎসকদের রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর অবশেষে গর্ভপাতের অনুমতি দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
আবেদনকারীর বয়স ৩৯ বছর। তাঁর স্বামীর বয়স ৫০। তাঁদের ১৫ বছরের একটি মেয়েও আছে। সম্প্রতি আবেদনকারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরেই চিকিৎসকের কাছে যান তিনি। তার পরেই ভ্রুণের শারীরিক ত্রুটি ধরা পড়ে। গর্ভস্থ সন্তানের হৃদ্যন্ত্র, ভ্রুণের স্নায়ুতন্ত্রের গঠনও অসম্পূর্ণ ছিল। ওই শিশু জন্মালে সুস্থ এবং স্বাভাবিক থাকবে না। দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকবে।
আরও পড়ুন: কন্দাহার থেকে করাচি জঙ্গি করিডরের মাথা, কে এই কামরান?
আরও পড়ুন: দাদা মাসুদ আজহারের ছায়ায় পাকিস্তানে বসে জইশের ফিদায়েঁ অপারেশন চালাচ্ছে আসগর
এ দেশে পরিস্থিতি বিচার করে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়ার আইন রয়েছে আগে থেকেই। ১৯৭১ সালের গর্ভপাত আইন অনুযায়ী, গর্ভধারণের ২১ সপ্তাহের মধ্যে জটিলতা দেখা দিলে কোনও অন্তঃসত্ত্বা গর্ভপাত করাতে পারেন।
কিন্তু ওই সময়সীমার পরে গর্ভপাত করাতে আদালতের অনুমতি প্রয়োজন। গর্ভস্থ সন্তান সুস্থ নয়, এই কথা জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কলকাতার ওই মহিলা। এ বিষয়ে স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ গৌতম খাস্তগির বলেন, “মায়ের বিপদের সম্ভাবনা নেই। ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে চিকিৎসা করা সম্ভব।”
আবেদনকারী গৃহবধূর স্বামী একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। ওই অবস্থায় ওই সন্তানের জন্ম দিলেও তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এবং যত্ন নেওয়ার মতো আর্থিক সঙ্গতি তাঁদের নেই বলে জানান দম্পতির আইনজীবী। জানা গিয়েছে, দম্পতি তিনটি নার্সিংহোমে গিয়েছিলেন। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজেও গিয়েছিলেন। কোনও চিকিৎসকই রাজি হননি।
(শহরের প্রতি মুহূর্তের সেরা বাংলা খবর জানতে পড়ুন আমাদের কলকাতা বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy