এম পি বিড়লা স্কুলে চার বছরের ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে কী তদন্ত হয়েছে, রাজ্য সরকারকে তার রিপোর্ট হলফনামা দিয়ে জানাতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ জানিয়ে এবং নির্যাতনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে মামলা রুজু করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা। সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি দেবাংশু বসাকের আদালতে। ছাত্রীর বাবার আইনজীবী মৈনাক বসু আদালতে অভিযোগ জানান, ১৫ সেপ্টেম্বর নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ওই দিনই পুলিশের কাছে এফআইআর করা হয়। তার তিন মাস পরে অভিভাবকদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে অভিযুক্ত এক জনকে ‘লোক দেখানো’ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা আদৌ তদন্ত করেছে কি না, তা তাঁর মক্কেলকে জানানো হয়নি। আইনজীবী আরও জানান, নির্যাতিতা ছাত্রী দুই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করলেও অন্য এক অভিযুক্ত এখনও ধরা পড়েনি। স্কুল কর্তৃপক্ষও ওই অভিযুক্তকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, পুলিশ পদ্ধতি মেনেই তদন্ত করছে। এই ধরনের অভিযোগে দৈনন্দিন তদন্ত নিয়ে অভিযোগকারীকে বিস্তারিত জানালে তদন্ত ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাঁর দাবি, ১৫ সেপ্টেম্বর ঘটনার কিছু পরেই ছাত্রীকে এসএসকেএমে নিয়ে গিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। ওই দিনই তার পিসি, মামা ও মায়ের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়। ১৬ ও ২০ সেপ্টেম্বর স্কুলে গিয়ে অনুসন্ধান করেন তদন্তকারী অফিসার। ছাত্রীর বয়ানও নথিভুক্ত করা হয়। সিসিটিভি-র ফুটেজ সংগ্রহ করেন তদন্তকারী। ছাত্রীর ডায়াপার ও অন্য জামাকাপড় বাজেয়াপ্ত করে ফরেন্সিক পরীক্ষায় জন্য পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগকারীর আইনজীবী আদালতে জানান, বিস্তারিত না হলেও তদন্তের কিছুটা জানানো যেতে পারত। ছাত্রীকে মনোবিদের কাছে একাধিক বার নিয়ে যাওয়া হলেও তার অভিভাবকদের অন্ধকারে রেখে কেন তদন্ত হবে, সেই প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী।
তা শুনে এজি নিজেই আদালতে জানান, দরকার হলে হলফনামা দিয়ে এই সব তথ্য আদালতে জানাতে পারে রাজ্য। তা জেনে বিচারপতি বসাক নির্দেশ দেন, শীতের ছুটি শেষ হওয়ার পরে সেই হলফনামা দিক রাজ্য। প্রয়োজনে এজি-র সঙ্গে একান্তে অভিযোগকারীর আইনজীবী আলোচনায় বসে তদন্তের গতিপ্রকৃতি জেনে নিতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy