Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

নন্দনের কথা বলেন আচার্যই: লোহিয়া

অনুরাধা লোহিয়া। —ফাইল ছবি

অনুরাধা লোহিয়া। —ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:২২
Share: Save:

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ক্যাম্পাসের ভিতরে ডিরোজিও হলের বদলে নন্দনে হওয়ায় অখুশি অনেকেই। তাঁদের প্রশ্ন, ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানে নিজেদের প্রেক্ষাগৃহ থাকা সত্ত্বেও ছাত্রছাত্রীদের ডিগ্রি দেওয়ার অনুষ্ঠান সমাবর্তন অন্যত্র হবে কেন?

ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে গোলমাল শুরু হওয়ায় রাজভবনে সমাবর্তন করার জল্পনা শুরু হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে রাজভবনের নাম ওঠায় বিতর্ক শুরু হয়। যদিও মঙ্গলবার সমাবর্তনের শেষে উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া জানান, রাজভবনের কথা তিনি কোনও সংবাদমাধ্যমকে বলেননি। এটা গুজব ছড়ানো হয়েছিল। তবে প্রশাসনিক সূত্রের খবর, রাজভবনে সমাবর্তনের সম্ভাবনার কথা আচার্য-রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর দফতরে পৌঁছেছিল। তবে তা লিখিত প্রস্তাবের আকারে রাজভবনে যায়নি। পরে আচার্যের কাছে খবর পৌঁছয় যে, সমাবর্তন হবে নন্দনে।

আচার্যকে ছাড়াই এ দিন সমাবর্তন হয়েছে। উপাচার্য জানান, আচার্য তথা রাজ্যপালের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল। অনুরাধাদেবী বলেন, ‘‘গভর্নরকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আমার কী করা উচিত। ওঁর মতামত জানতে চেয়েছিলাম। তার পরে অনেকটা সময় লেগে গেল। উনি হয়তো অনেকের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আমি সোমবার বেলা ১টা-২টো নাগাদ ফোন করি। তখন উনি জানান, ওঁর অনেক মিটিং রয়েছে। একটু ভাবতে হবে।’’ উপাচার্য জানান, তার পরে বিকেল ৫টায় তিনি ফের ফোন করতে শুরু করেন। তখন আচার্য জানান, একটু কথা বলে পরে তাঁর মতামত জানাচ্ছেন। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ আবার কথা হয় আচার্যের সঙ্গে। আচার্য তখন জানান, নন্দন বা অন্য যে-কোনও সরকারি ভবনে সমাবর্তন করলে সব থেকে ভাল হয়। বিশেষ করে আমন্ত্রিতদের বয়সের কথা মাথায় রেখে। পরে সাড়ে ৭টা নাগাদ নন্দন পাওয়া যায়। কলকাতায় থাকা সত্ত্বেও আচার্য সমাবর্তনে এলেন না কেন?

উপাচার্য বলেন, ‘‘আচার্য জানান, ‘শেষ মুহূর্তে আমি আর যেতে পারব না। শরীরটা খুব একটা ভাল নয়। তাই তোমাকেই ভারটা দিলাম’।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE