Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

বোজা পুকুরের রূপ বদল

ছিল পুকুর। দীর্ঘ দিন ধরে আবর্জনা ফেলায় তা বদলে গিয়েছিল ভাগাড়ে। গড়িয়া মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন জঞ্জালে ঢাকা সেই পুকুর এখন সুদৃশ্য জলাশয়।

নবসাজ: পরিত্যক্ত সেই পুকুরই পুর উদ্যোগে ফিরে পেয়েছে এই জলছবি। —নিজস্ব চিত্র।

নবসাজ: পরিত্যক্ত সেই পুকুরই পুর উদ্যোগে ফিরে পেয়েছে এই জলছবি। —নিজস্ব চিত্র।

অনুপ চট্টোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৭ ০১:১০
Share: Save:

ছিল পুকুর। দীর্ঘ দিন ধরে আবর্জনা ফেলায় তা বদলে গিয়েছিল ভাগাড়ে। গড়িয়া মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন জঞ্জালে ঢাকা সেই পুকুর এখন সুদৃশ্য জলাশয়।

কলকাতা পুরসভার ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ২২ কাঠা জায়গা জুড়ে পুরনো এই পুকুরটি। অভিযোগ, গত ১৫-১৬ বছর ধরে সেখানে নিয়মিত ময়লা ফেলতেন বাসিন্দারা। ক্রমেই পুকুর বুজে ডোবার চেহারা নিয়েছিল।

পুকুরের বেহাল দশা নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা পুকুর সংরক্ষণের আবেদন জানান এলাকার তৎকালীন বিধায়ক বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্ত এবং স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে।

স্থানীয় কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী জানান, দুর্গন্ধ এবং মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হচ্ছিলেন বাসিন্দারা। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন এলাকার কয়েক জন বাসিন্দা। এই পরিস্থিতিতে পুকুর সংস্কারে রাজ্য জলসম্পদ দফতরে আবেদন জানান কাউন্সিলর। দফতর প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করে। পুজোর পরে শুরু হয় পুকুর সাফাই।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পুকুর থেকে ৭০-৮০ লরি আবর্জনা তোলা হয়েছিল। এর পরে শুরু হয়েছিল পুকুর খনন। অভিযোগ, সংস্কারের পরেও কেউ কেউ সেখানে ময়লা ফেলতে শুরু করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা রুখে দাঁড়ালে অবশেষে তা বন্ধ হয়। অরূপবাবু বলেন, ‘‘তখনই স্থির করা হয় জলাশয়টির চার ধারে সৌন্দর্যায়ন করতে হবে।’’

কাউন্সিলরের উদ্যোগে এবং পুরসভার আর্থিক সহায়তায় বাঁধানো হয় জলাশয়টি। পুকুরের চার ধারে হাঁটা-চলার জন্য পেভার ব্লক বসিয়ে তৈরি হয়েছে রাস্তা। আলোয় সাজানো হয়েছে জলাশয়ের চার ধার। লাগানো হয়েছে বিভিন্ন ধরনের গাছগাছালি। সম্প্রতি সুদৃশ্য ওই জলা‌শয়ের উদ্বোধনও হয়ে গেল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Beautification Garia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE