Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Dinabandhu Andrews College

মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিই সার গড়িয়ার অ্যান্ড্রুজ কলেজে

সন্তানদের ভাল কলেজে ভর্তি করানোর জন্য তাঁদের অন্যতম পছন্দ ছিল দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজ। কিন্তু শুক্রবার সারা দিন ধরে সেখানে তাঁরা যা দেখলেন, তাতে ওই কলেজে ভর্তি করানোর ইচ্ছেটাই হয়তো তাঁদের চলে গিয়েছে।

এই কলেজেই ঝামেলার সূত্রপাত।

এই কলেজেই ঝামেলার সূত্রপাত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৮ ২০:৫০
Share: Save:

কলেজে ভর্তির কাউন্সেলিংয়ের জন্য এসেছিলেন পড়ুয়ারা। সঙ্গে ছিলেন তাঁদের বাবা-মায়েরাও। সন্তানদের ভাল কলেজে ভর্তি করানোর জন্য তাঁদের অন্যতম পছন্দ ছিল দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজ। কিন্তু শুক্রবার সারা দিন ধরে সেখানে তাঁরা যা দেখলেন, তাতে ওই কলেজে ভর্তি করানোর ইচ্ছেটাই হয়তো তাঁদের চলে গিয়েছে।

এ দিন কাউন্সেলিং শুরু হতেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল গোলমাল শুরু হয়। এমন কি দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও শুরু হয়ে যায়। কলেজর কোনও গোষ্ঠীর দখলে থাকবে এ নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত। ঝামেলা এমন পর্যায় পৌঁছয়, ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। দুই গোষ্ঠীর কোন্দোল থামানে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকর্মীদের। তারপর বেশ কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যাওয়াও হয়।

২৪ ঘণ্টাও হয়নি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সতর্ক করে দেওয়ার পরেও যুব তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দোল ফের প্রমাণ করে দিল, তাঁরা কারও নিয়ন্ত্রণে নেই। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, যুব তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূলের বড়মাপের নেতারা। তাঁদের মদতেই যুব তৃণমূল কর্মীদের এতটা বাড়বাড়ন্ত।

এক ছাত্রের অভিযোগ, কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদারের অনুগামীরাই প্রথমে গোলমাল পাকিয়েছে। সকাল থেকেই তাঁরা বহিরাগতদের নিয়ে কলেজের সামনে জমায়েত হন। উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা চরম আকার নেয়। শেষ পর্যন্ত মারধরও শুরু করে দেবব্রতবাবুর অনুগামীরা। অন্য গোষ্ঠীর অভিযোগ, তৃণমূল কাউন্সিলার বাপ্পাদিত্য দাশ এবং অরূপ চক্রবর্তীর অনুগামীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।

দেখুন ভিডিয়ো:

তুমুল গোলমালের মাঝে পড়ে অভিভাবকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ এলাকা ছেড়েও চলে যান। এই পরিস্থিতিতে বেশ কিছুক্ষণের জন্য কাউন্সিলিং বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই ঘটনার জেরে পরিচালন সমিতি ভেঙে দেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে তৃণমূল সূত্রে।

গোলমালের সময় ঘটনাস্থলেই ছিলেন মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার। তাঁর যুক্তি, আমি পুরসভার কাউন্সিলর। বিভিন্ন প্রয়োজনে আসতে হয়। কলকাতা পুরসভার ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অরূপ চক্রবর্তীর কথায়, এই ঘটনাটি ছাত্রদের মধ্যে ঘটেছে। ঠিক হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখানে কোনও গোষ্ঠী কোন্দোল নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE