মৃত স্বপ্না হেলা। —নিজস্ব চত্র
গর্ভের শিশু-সহ অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল মধ্য কলকাতার লেডি ডাফরিন ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে। স্বপ্না হেলা (৩৫) নামে বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের বাসিন্দা ওই মহিলার মৃত্যুর পরই তাঁর পরিজনরা হাসপাতালে চিকিৎসকদের ঘিরে তুমুল বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, প্রসবযন্ত্রণা শুরু হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে আসার পর প্রায় দেড় ঘণ্টা অন্তঃসত্ত্বাকে ফেলে রাখা হয়। তার জেরেই গর্ভস্থ শিশু ও অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু হয়েছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পুলিশ ও রোগীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর থেকেই লেডি ডাফরিন ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা করাচ্ছিলেন ১১৩এইচ/১৬ বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের বাসিন্দা স্বপ্না হেলা। গত ৯ জুনও তিনি হাসপাতালের চিকিৎসকদের দেখান। চিকিৎসকরা জানান, প্রসবের এখনও দেরি আছে। আরও ২০ দিন পর ফের চেক-আপে আসতে বলা হয় তাঁকে।
কিন্তু সোমবার রাতে আচমকাই স্বপ্নাদেবীর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, প্রায় দেড় ঘণ্টা কার্যত বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়। তার জেরেই মৃত্যু হয় স্বপ্নাদেবীর। তাঁর গর্ভের সন্তানকেও বাঁচানো যায়নি। তাঁদের দাবি, সময়মতো চিকিৎসা শুরু হলে মা-সন্তান দু’জনকেই বাঁচানো সম্ভব হত।
স্বপ্না হেলার মৃত্যুর পর হাসপাতালে পরিজনদের বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র
আরও পড়ুন: দুই বাসের রেষারেষি, প্রাণ গেল দুই কিশোরের
এর পরেই হাসপাতালে তুমুল বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবার পরিজনরা। চিকিৎসকদের ঘিরে ধরে চলতে থাকে বিক্ষোভ। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গাটা হাসপাতাল চত্বরে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন রোগীরাও। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় খবর পাঠালে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে মুচিপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্বপ্নাদেবীর পরিবারের লোকজন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
তবে গাফিলতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ওই রোগী আসার পরই প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু আচমকা রোগীর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁর মৃত্যু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy