প্রতীকী ছবি।
রিপন স্ট্রিটের শিশু নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত জুলফিকার আলি ধরা পড়েছে। শুক্রবার সকালে রিপন স্ট্রিটে জুলফিকারের এক আত্মীয়ের বা়ড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার নিজের বাড়ি তালতলা লেনে।
পুলিশি সূত্রের খবর, এর আগেও জুলফিকারের বিরুদ্ধে বারবার শিশু নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু বেশ কয়েক বার সে রেহাই পেয়ে যায় নিগৃহীত শিশুদের পরিবার অভিযোগ দায়ের না-করায়। তদন্তকারীরা জানান, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েকে ফেরত পেয়ে যাওয়ায় পরিবার অভিযোগ দায়ের করত না। তবে সোমবারের ঘটনায় নিখোঁজ শিশুর পরিবার অভিযোগ করায় পুলিশের জালে ধরা পড়ে জুলফিকার।
সোমবার রিপন স্ট্রিটের বাসিন্দা বছর সাতেকের একটি শিশু পাড়ার দোকানে মোবাইলের রিচার্জ কার্ড কিনতে বেরিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। সন্ধ্যায় তাকে বৌবাজার এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। ওই শিশুকন্যা পুলিশকে জানায়, তার পাড়ার এক বন্ধুর বাবা তাকে রাস্তা থেকে ডেকে নিয়ে যায় এবং পরে ট্রেনে ও বাসে চেপে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে ফেলে দিয়ে যায়। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ট্রেনে করে তাকে কোথাও একটা নিয়ে গিয়েছিল ওই ব্যক্তি। ট্রেনের ফাঁকা কামরায় তাকে তোলা হয়েছিল এবং কোলে বসিয়ে ওই ব্যক্তি তার গোপনাঙ্গে হাত দেয় এবং যৌন নির্যাতন করে। চিৎকার করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয় সে।
সোমবার রাতেই অভিযুক্তের খোঁজে নামে পুলিশ। সে তত ক্ষণে গা-ঢাকা দিয়েছে। শুক্রবার রিপন স্ট্রিটে জুলফিকারের এক আত্মীয়ের খোঁজ পায় পুলিশ। আর সেখান থেকেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তোলা হয় ব্যাঙ্কশালের পকসো আদালতে। আদালত জুলফিকারকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
এ দিন সকালেই বিষয়টি রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যা সুদেষ্ণা রায় ইলিয়ট রোডের হোমে পৌঁছন ওই শিশুর সঙ্গে কথা বলতে। পরে সুদেষ্ণাদেবী বলেন, ‘‘শিশুটি ‘ট্রমা’য় রয়েছে। কাউন্সেলিং শুরু হয়েছে।’’ শিশুটির মা এ দিন জানান, তাঁদের ভয় হচ্ছে পাছে জুলফিকার ছাড়া পেয়ে যাবে না তো!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy