Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

কাঠামো পরীক্ষায় আসছে আইআইটি

অগ্নিকাণ্ডের জেরে বাগড়ি মার্কেটের কাঠামো কতটা দুর্বল হয়েছে, তা নিরূপণের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে নিতে চাইছে না কলকাতা পুরসভা। আইআইটি রুরকি এবং আইআইটি খড়্গপুরের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে এ বিষয়ে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে।

পুরসভার সব অফিস, কমিউনিটি হল, স্কুল, পাম্পিং স্টেশনে ঘুরে ঘুরে ‘ফায়ার অডিট’ করা হবে। —ফাইল চিত্র।

পুরসভার সব অফিস, কমিউনিটি হল, স্কুল, পাম্পিং স্টেশনে ঘুরে ঘুরে ‘ফায়ার অডিট’ করা হবে। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:৪৪
Share: Save:

অগ্নিকাণ্ডের জেরে বাগড়ি মার্কেটের কাঠামো কতটা দুর্বল হয়েছে, তা নিরূপণের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে নিতে চাইছে না কলকাতা পুরসভা। আইআইটি রুরকি এবং আইআইটি খড়্গপুরের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে এ বিষয়ে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে বিশেষজ্ঞ দল মার্কেট পরিদর্শনে আসতে পারে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। পরিদর্শনের পরে বিশেষজ্ঞেদের দেওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী কাজ করবে পুর বিল্ডিং দফতর।

প্রসঙ্গত, শনিবার ওই পোড়া বাজারে যান পুরসভার বিল্ডিং, জল, বিদ্যুৎ, জঞ্জাল অপসারণ দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা। নীচের তলার অবস্থা ঘুরে দেখেন তাঁরা। বিল্ডিং দফতরের এক পদস্থ কর্তার কথায়, ‘‘বিশেষজ্ঞ দলের রিপোর্টের উপরে ভিত্তি করেই আমরা কাজ করব। বিশেষজ্ঞেরা যাতে ভিতরে ঢুকতে পারেন, তার জন্য ভস্মীভূত সামগ্রী ও ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ চলছে। এই কাজ করতে আরও দু’দিন লাগবে।’’ পুরসভা সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ২০ লরি বর্জ্য বার করা হয়েছে। আজ, রবিবারও সারা দিন কাজ হবে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।

তবে সেই কাজ করতেও প্রাথমিক ভাবে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে বলে পুর আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন। কারণ, একেই পুরো বাড়িটি বিদ্যুৎহীন। তার উপরে ধ্বংসাবশেষের কারণে উপরের তলাগুলিতে যাওয়ার উপায় নেই। তবে বাগড়ি মার্কেটের ব্যবসায়ী সংগঠনের সম্পাদক দেবব্রত দাস বলেন, ‘‘যাঁরা এখনও ভিতর থেকে জিনিস বার করতে পারেননি, সোমবার তাঁদের সে সব বার করার অনুমতি দেবে পুলিশ। গেটে নাম লিখে ভিতরে ঢুকে তাঁরা জিনিস বার করতে পারবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE