প্রতীকী ছবি।
জমির দালালি করে পাওয়া টাকার ভাগ নিয়ে দুই গোষ্ঠীর বিবাদের জেরে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক ব্যক্তি। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর থানার খেয়াদহ এলাকার উত্তরপাড়ায়। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম স্বপন মালাকার। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে বাড়ি ফিরছিলেন স্বপন। সে সময়ে শানু নস্কর নামে স্থানীয় আর এক জমির দালাল দলবল নিয়ে স্বপনকে ঘিরে ফেলে বলে অভিযোগ। দু’টি মোটরসাইকেলে আরও দু’জন ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
তদন্তকারীরা জানান, শানুর সঙ্গে টাকার বখরা নিয়ে স্বপনের বচসা শুরু হয়। ওই সময়ে শানু স্বপনকে লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। গুলি স্বপনের বাঁ কানের পাশ ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। জখম অবস্থায় স্বপন মাটিতে পড়ে যান। শানু ও তার দলবল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা স্বপনকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় কয়েক বিঘা জমি বিক্রির দালালি করেছিলেন স্বপন। শানু স্বপনের কাছ থেকে সেই টাকার ভাগ চেয়েছিল। কিন্তু স্বপন তা দিতে রাজি হয়নি। তদন্তকারীদের কথায়, শানু ও স্বপন একই এলাকার বাসিন্দা। শানুর বিরুদ্ধে এলাকায় তোলাবাজির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। স্বপনের পরিজনদের অভিযোগ, টাকার জন্য শানু নানা ভাবে স্বপনের উপরে চাপ দিচ্ছিল। স্থানীয় ক্লাবের সদস্যেরাও শানুর সঙ্গে মিলে স্বপনকে চাপ দেওয়া শুরু করেছিল বলে অভিযোগ।
বারুইপুর জেলা পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘মঙ্গলবার সকালে দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে শানুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিরা এখনও পলাতক।’’
স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় জমির দালালদের একাধিক গোষ্ঠী রয়েছে। দালালির বখরা নিয়ে নানা গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছে। অধিকাংশ গোষ্ঠীর সদস্যের কাছেই রয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। শাসক দলের নেতাদের মদতেই ওই সদস্যেরা এলাকায় দাপট দেখায় বলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। তাঁদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোনারপুর (উত্তর) বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম বলেন, ‘‘আমার কাছে কোনও অভিযোগ এলে সে বিষয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পুলিশের। আমি কোনও রাজনৈতিক রং বিচার করি না।’’ এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্রে রমরমার বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘ওই এলাকায় খোঁজ নেওয়া হবে। প্রয়োজনে তল্লাশি অভিযান করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy