Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

কিশোরীকে ‘ধর্ষণ’, ধৃত রাজমিস্ত্রি

পুলিশের কাছে অভিযোগে মেয়েটির পরিবার জানিয়েছে, বাড়িতে কারও না থাকার সুযোগে ঘরে ঢুকে আলো নিভিয়ে ওই ছাত্রীর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে মনিরুল। ভয় পেয়ে চিৎকার করলে মেয়েটির মুখ চেপে ধরে সে। তার পরে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৫৯
Share: Save:

বাড়িতে কাজ করতে এসে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক রাজমিস্ত্রির বিরুদ্ধে। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা থানার মির্জানগরে। মনিরুল শেখ নামে ওই রাজমিস্ত্রিকে শুক্রবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীর বাবা ও মা দু’জনেই কারখানায় কাজ করেন। মেয়েরা বড় হচ্ছে, তাই বাড়িতে পাকা শৌচালয় তৈরি করাচ্ছিলেন তাঁরা। বুধবার বিকেলে তাঁরা কাজে গিয়েছিলেন। এক মেয়ে মামার বাড়িতে গিয়েছিল। পরীক্ষা চলছে বলে অন্য জন বাড়িতেই পড়াশোনা করছিল। সেই সময়ে ওই বাড়িতে কাজ করছিল বোড়ামারির বাসিন্দা মনিরুল।

পুলিশের কাছে অভিযোগে মেয়েটির পরিবার জানিয়েছে, বাড়িতে কারও না থাকার সুযোগে ঘরে ঢুকে আলো নিভিয়ে ওই ছাত্রীর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে মনিরুল। ভয় পেয়ে চিৎকার করলে মেয়েটির মুখ চেপে ধরে সে। তার পরে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, মনিরুল মেয়েটিকে হুমকি দিয়ে বলে, ওই ঘটনার কথা কাউকে জানালে ফল ভাল হবে না। জখম অবস্থাতেই ঘরে কিছু ক্ষণ পড়ে থাকে মেয়েটি। মনিরুল ঘর থেকে বেরিয়ে যেতেই সে বেরোয়। বাড়ির পাশেই মেয়েটির জেঠার বাড়ি। তার জেঠিমার অভিযোগ, ‘‘রক্তাক্ত অবস্থায় যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে ও আমার কাছে আসে। দেখি, সারা শরীরে মার এবং অত্যাচারের চিহ্ন।’’ এর পরে ওই মহিলার চিৎকার শুনে লোকজন জড়ো হওয়ার আগেই মোটরবাইক নিয়ে চম্পট দেয় মনিরুল।

পুরো ঘটনার কথা জানিয়ে দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ জানায় মেয়েটির পরিবার। ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ঘর থেকে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে পুলিশ। এর পরেই মনিরুলকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মনিরুল বিবাহিত। তার সন্তানও আছে। স্ত্রী এখন গর্ভবতী। পুলিশ জানিয়েছে, জখম মেয়েটির চিকিৎসা চলছে। এখন সে কিছুটা স্থিতিশীল। তবে এ বার তার পরীক্ষা দেওয়া হবে না। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণও মিলেছে। শুক্রবার তার গোপন জবানবন্দি নেন বারাসত আদালতের বিচারক।

মেয়েটির মা এ দিন বলেন, ‘‘১৩ বছরের মেয়ের উপরে যে অত্যাচার হল, তার বিচার চাই।’’ বাবা বলেন, ‘‘কাজে না গেলে তো হয় না। কষ্ট করে মেয়েদের পড়াচ্ছি। কিন্তু মেয়ে পরীক্ষাটাও দিতে পারবে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মেয়েরা বড় হচ্ছে। তাই জমানো টাকায় শৌচালয় করছিলাম। মিস্ত্রিও চেনা। তাই ও বাড়িতে একা থাকলেও খারাপ কিছু হতে পারে ভাবিনি। কিন্তু এত বড় ক্ষতি হয়ে যাবে, কল্পনাও করিনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE