প্রতীকী ছবি।
কলকাতার বায়ু বিষিয়ে যাওয়ার মূল কারণ কী, বিশ্ব পরিবেশ দিবসে তা নিয়েই শুরু হল বিতর্ক। এবং এই প্রশ্নে কার্যত দু’ভাগ সরকার পক্ষ এবং শহরের নাগরিক সমাজ।
এ বছর বায়ুদূষণকেই পরিবেশ দিবসের ‘থিম’ হিসেবে বেছে নিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। বুধবার সে বিষয়ে একটি অনুষ্ঠানে জানা গিয়েছে, বেশির ভাগ শহরবাসীর মতে গাড়ির ধোঁয়াই কলকাতার বায়ুদূষণের মূল কারণ। সম্প্রতি শহরে সমীক্ষা চালিয়ে এই তথ্য পেয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ওই সমীক্ষার ফল বলছে, প্রায় ৮৪ শতাংশ মানুষের মতে, গাড়ির ধোঁয়াই শহরে বায়ুদূষণের প্রধান কারণ। যদিও অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র এ কথা মানতে চাননি। তাঁর দাবি, গাড়ির ধোঁয়া থেকে সবচেয়ে বেশি দূষণ হয় এই ধারণা ঠিক নয়। বরং জাতীয় পরিবেশ প্রযুক্তি গবেষণা সংস্থা বা ‘নিরি’র সমীক্ষায় অনুযায়ী রাস্তার ধারে খাবারের দোকানে ব্যবহৃত কয়লার উনুনের ধোঁয়াই শহরের বায়ু সবচেয়ে বেশি বিষিয়ে দিচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
প্রশ্ন উঠেছে, কলকাতায় গাড়ির ধোঁয়া এবং খাবারের দোকানের উনুনের ধোঁয়ার পরিমাণ কত? পরিবেশকর্মীদের সংগঠন সবুজ মঞ্চের সম্পাদক নব দত্তের বক্তব্য, কলকাতার কত জন হকার এখনও কয়লা ব্যবহার করেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত সমীক্ষা করা হয়েছে কি? তাঁর দাবি, পুরনো গাড়ি এবং নির্মাণকাজের জেরে দূষণ থেকে নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য বিজ্ঞানী অরুণাভ মজুমদার বলছেন, বায়ুদূষণের কারণে শিশুরা হাঁপানিতে ভুগছে। বয়স্কদের মধ্যে ফুসফুসে ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়ছে। শহরে জলবাহিত রোগের থেকে এখন শ্বাসজনিত রোগ বাড়ছে। নাগরিকদের অনেকেরই দাবি, পুরনো বাস ও ট্যাক্সি থেকে বেরোনো ধোঁয়া মারাত্মক। তাই সেগুলি বাতিলে জোর দেওয়া হোক।
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারের অবশ্য দাবি, ১৫ বছরের পুরনো বাণিজ্যিক গাড়ি নিয়মিত বাতিল করা হচ্ছে। কিন্তু শুধু গাড়ি বাতিলেই নয়, বাকি দিকগুলিতেও জোর দিতে হবে। গাড়ি নিয়ে জনমানসে ভুল ধারণা রয়েছে এই ইঙ্গিত করে কল্যাণবাবুর দাবি, নিরি এ ব্যাপারে সব থেকে অভিজ্ঞ সংস্থা। তাই তাদের রিপোর্টকেই স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy