Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
বিধাননগর

অটোস্ট্যান্ড সরানোর নির্দেশ পুলিশের

অটোর সঙ্গে ট্রাফিকের শীর্ষকর্তার গাড়ির ধাক্কার পরেই সল্টলেকের করুণাময়ীর মোড় থেকে অটো, রিকশাস্ট্যান্ড সরাতে নির্দেশ দিয়েছে বিধাননগর পুলিশ। সেই নির্দেশ নিয়ে শুক্রবার বিক্ষোভও দেখান অটোচালকেরা। এর জেরে কিছুক্ষণ ওই মোড়ে বিভিন্ন রুটের অটো বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার সকাল থেকে উল্টোডাঙা-করুণাময়ী-পাঁচ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন রুটে অটো চলাচল পুরো বন্ধ করে দেন চালকেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৫ ০০:০৭
Share: Save:

অটোর সঙ্গে ট্রাফিকের শীর্ষকর্তার গাড়ির ধাক্কার পরেই সল্টলেকের করুণাময়ীর মোড় থেকে অটো, রিকশাস্ট্যান্ড সরাতে নির্দেশ দিয়েছে বিধাননগর পুলিশ। সেই নির্দেশ নিয়ে শুক্রবার বিক্ষোভও দেখান অটোচালকেরা। এর জেরে কিছুক্ষণ ওই মোড়ে বিভিন্ন রুটের অটো বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার সকাল থেকে উল্টোডাঙা-করুণাময়ী-পাঁচ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন রুটে অটো চলাচল পুরো বন্ধ করে দেন চালকেরা। রিকশা চলাচলও বন্ধ থাকে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসযাত্রী ও স্থানীয়েরা। অটোচালকরা ও পুলিশ প্রশাসন দিনভর নিজেদের অবস্থানেই অনড় থাকে। দাবি না মানা হলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অটো বন্ধ রাখা হবে বলে এ দিন হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন চালকেরা।

শুক্রবার অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শিবানী তিওয়ারির গাড়ির সঙ্গে একটি অটোর ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘিরে বিবাদের সূত্রপাত। চালককে ধরে নিয়ে গিয়ে জরিমানা করা হয়। যদিও চালকের দাবি, দুর্ঘটনার জন্য ওই পুলিশকর্তার গাড়ির চালক দায়ী। পুলিশ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে। এর পরেই করুণাময়ী মোড় থেকে দূরে অটো ও রিকশা রাখার নির্দেশ দেয় পুলিশ।

অটোচালকদের অভিযোগ, আগে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করেই করুণাময়ী মোড়ে অটো দাঁড়ানোর ব্যবস্থা হয়েছিল। আচমকা পুলিশকর্তার গাড়িতে অটোর ধাক্কা লাগার ঘটনার পরেই পুলিশের ভোলবদল। পুলিশ এখন যেখানে অটো দাঁড়ানোর কথা বলছে, সেটা করুণাময়ী মোড় থেকে দূরে। অথচ বাস ওই মোড়েই দাঁড়ায়। যাত্রীরাও সেখানেই অপেক্ষা করেন। ফলে অটো চালকেরা আর যাত্রী পাবেন না। অটোচালকদের দাবি, তাঁরা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চাইলেও তাঁরা কিছু শুনতেই চাইছেন না।

এক পুলিশকর্তা পাল্টা জানান, করুণাময়ী মোড়ে গাড়ির চাপ বেশি। ওখানে অটো-রিকশা দাঁড়ানোয় যান-নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হচ্ছে। তাই স্ট্যান্ড সরাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করুণাময়ী মোড়ে অটো ইউনিয়নগুলি মূলত তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নিয়ন্ত্রণেই আছে। সেই শ্রমিক সংগঠনের এক নেতা সুজিত পাল বলেন, ‘‘আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব। অটোচালকদের রুজি রোজগারের বিষয়টি এর সঙ্গে জড়িত। সেই দিকটি প্রশাসনকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে।’’ শ্রমিক সংগঠনের আরও এক নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘যাত্রীরা ওই মোড়েই গাড়ির জন্য অপেক্ষা করেন। স্ট্যান্ড দূরে সরালে চালকেরা যাত্রী পাবেন না। অবিলম্বে আলোচনার দাবি জানাচ্ছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE