Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
corona virs

নেই নতুন আক্রান্ত, রেড থেকে গ্রিন জ়োনে বেলগাছিয়া বস্তি

করোনার জন্য যে বিধিনিষেধ মানতে হচ্ছে, তা আরও কিছু দিন বজায় রাখতে চান এলাকার বাসিন্দারাই। তবে সরকারি নির্দেশ মতো গ্রিন জ়োনের যে সব সুবিধা পাওয়ার কথা, তা ধাপে ধাপে মিলবে বলেই ধারণা তাঁদের।

সাবধানি: এলাকা ফিরেছে গ্রিন জ়োনে। তবে রাস্তা এখনও ঘেরা রয়েছে গার্ডরেলেই। শনিবার, বেলগাছিয়ায়। ছবি: রণজিৎ নন্দী

সাবধানি: এলাকা ফিরেছে গ্রিন জ়োনে। তবে রাস্তা এখনও ঘেরা রয়েছে গার্ডরেলেই। শনিবার, বেলগাছিয়ায়। ছবি: রণজিৎ নন্দী

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২০ ০২:২৮
Share: Save:

বেলগাছিয়া বস্তিতে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি নিয়ে গত মাসে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। শহরে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছিল সেখান থেকেই। রোগ প্রতিরোধে ওই সব এলাকায় ঢোকা ও বেরোনো বন্ধ করতে স্থানীয় রাস্তাঘাট ও বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়। শনিবার সেই বেলগাছিয়া বস্তি ফিরেছে গ্রিন জ়োনে। এমনটাই জানালেন পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম।

এই খবরে এলাকাবাসী স্বস্তি পেলেও আটকে থাকা রাস্তা খুলে দিয়ে এখনই লাগামছাড়া হতে চান না তাঁরা। করোনার জন্য যে বিধিনিষেধ মানতে হচ্ছে, তা আরও কিছু দিন বজায় রাখতে চান এলাকার বাসিন্দারাই। তবে সরকারি নির্দেশ মতো গ্রিন জ়োনের যে সব সুবিধা পাওয়ার কথা, তা ধাপে ধাপে মিলবে বলেই ধারণা তাঁদের। এ দিন স্থানীয় মিষ্টির দোকান ও মুদিখানা খুলে রাখার সময় বাড়ানো হয়েছে বলে জানান এলাকার বরো কোঅর্ডিনেটর তরুণ সাহা।

পুরসভা সূত্রের খবর, বেলগাছিয়ার লাল ময়দান, জরিনা ময়দান এলাকায় শেষ করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছিল ২২ দিন আগে। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী, টানা ২১ দিন নতুন কেউ আক্রান্ত না হলে সেই জায়গা রেড থেকে গ্রিন জ়োনে বদলে যাবে।

আরও পড়ুন: গাড়ি জীবাণুমুক্ত করার সুড়ঙ্গ চালু হচ্ছে মেছুয়ায়

আরও পড়ুন: চাপের মুখে কলকাতা ফিরছে উড়ান-চিত্রে

এপ্রিলের শুরুতেই বেলগাছিয়া বস্তি সংলগ্ন এলাকায় পাঁচ জন করোনায় আক্রান্ত হন। তরুণবাবু জানান, ওই ঘটনায় চিন্তা বাড়ে। দু’জন মারাও যান। পাশেই পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে আক্রান্ত হন আরও তিন জন। আপাতত সকলেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। গত ২৪ এপ্রিলের পর থেকে ওই এলাকায় নতুন করে কেউ সংক্রমিত হননি।

বেলগাছিয়া এবং রাজাবাজারে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ছ’জনের মৃত্যু হয়। নড়েচড়ে বসে পুরসভা। নবান্ন থেকে ওই দুই এলাকায় বাইরের লোকজনের যাতায়াত বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তার পরেই পুলিশ বেলগাছিয়া বস্তির কিছু রাস্তা ও রাজাবাজার মেন রোড সিল করে দেয়। পুর প্রশাসন ও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর বিশেষ দল পাঠিয়ে ওই এলাকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য সমীক্ষা শুরু করে। চলে নিয়মিত জীবাণুনাশক ছড়ানোর কাজ।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেলগাছিয়া ও রাজাবাজারের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কড়া নজরদারির নির্দেশ দেন। পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর শান্তনু সেন জানান, মূলত বস্তি এলাকা হওয়ায় সেখানে রোগ ছড়ানোর ভয় বেশি ছিল। লাল ময়দান, জরিনা ময়দান, জে কে ঘোষ রোড, চকবাজার, বেলগাছিয়া রোডের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁদের হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনও খাওয়ানো হয়। সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইটের পাশাপাশি অন্য রাসায়নিকও ব্যবহার করা হয় জীবাণু মারার কাজে। আপাতত নতুন করে কেউ আক্রান্ত না হওয়ায় করোনাকে কিছু দিনের জন্য জয় করেছেন বলেই মনে করছেন বাসিন্দারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

corona virus covid 19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE