প্রতীকী চিত্র
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশিকা মেনে করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত সামগ্রী নষ্ট করে ফেলা প্রয়োজন। তা না-হলে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, গত দু’মাস প্রশাসন সেই নির্দেশ না-মানায় বিপদ বেড়েছে হাওড়ায়। এমনই অভিযোগে বৃহস্পতিবার জাতীয় পরিবেশ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা, পরীক্ষা, তাঁরা কোয়রান্টিনে থাকাকালীন কাজে লাগা চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং এবং এই রোগে ব্যবহৃত সামগ্রী নিয়ে গত ২৫ মার্চ একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। তাতে বলা হয়েছে: ১) স্থানীয় প্রশাসনকে প্রতিটি কোয়রান্টিন কেন্দ্র এবং হোম কোয়রান্টিনে থাকা রোগীর মাস্ক, গ্লাভস-সহ চিকিৎসায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম সাবধানে সংগ্রহ করে তা বিশেষ গাড়িতে নিয়ে আসতে হবে। ২) এই ধরনের বর্জ্য সংগ্রহ করাতে হবে কোনও স্বীকৃত সংস্থাকে দিয়ে। ৩) সহজে চিহ্নিতকরণের জন্য বর্জ্য সংগ্রহে হলুদ রঙের ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। ৪) কোন হাসপাতালের কোন ওয়ার্ড অথবা কোন কোয়রান্টিন কেন্দ্র থেকে ওই বর্জ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, সেই তথ্য রাখতে হবে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে।
কিন্তু অভিযোগ, কার্যক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, এই নির্দেশগুলির প্রায় কোনওটিই গত দু’মাসে মানা হয়নি। হাওড়া পুরসভা সূত্রের খবর, ডুমুরজলা কোয়রান্টিন কেন্দ্রের বর্জ্য সংগ্রহে যেমন হলুদ রঙের ব্যাগ ব্যবহার করা হয়নি, তেমনই শহরের কয়েক হাজার মানুষ হোম কোয়রান্টিনে থাকলেও তাঁদের ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভস এবং অন্য চিকিৎসা-বর্জ্য সাধারণ বর্জ্যের সঙ্গেই সংগ্রহ করেছেন পুরসভার সাফাইকর্মীরা। আরও অভিযোগ, নিয়ম না-মেনে সেই বর্জ্য ফেলা হয়েছে বেলগাছিয়া ভাগাড়ে। আর সে কারণেই মধ্য হাওড়ার নরসিংহ দত্ত রোডের হরিজন বস্তিতে সংক্রমণ ব্যাপক হারে ছড়িয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সুভাষবাবু বলেন, ‘‘বাড়ির আবর্জনার সঙ্গে করোনা রোগীর ব্যবহৃত জিনিস মিশে যাওয়ায় সাফাইকর্মী-সহ কাগজকুড়ানিদেরও সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’’
আরও পড়ুন: বডিগার্ড লাইন্সে আরও কঠোর নিরাপত্তা
আরও পড়ুন: একসঙ্গে আক্রান্ত আট জন নার্স, বন্ধ হাসপাতাল
কোভিড রোগী বা করোনা সন্দেহে কোয়রান্টিনে থাকা রোগীদের ব্যবহৃত বর্জ্য যে নিয়ম মেনে সংগ্রহ ও নষ্ট করা হয়নি, তা পরিষ্কার জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও পুরকর্তাদের কথায়। পুরসভার এক কর্তা বলেন, ‘‘সম্প্রতি একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে ওই বর্জ্য সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা কাজ শুরু করেছে। তাই এখনই সর্বত্র ওঁদের কাজ করতে দেখা যাবে না। এই নিয়ে ওই সংস্থার সঙ্গে পাকাপাকি চুক্তিও বাকি আছে।’’
হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস বলেন, ‘‘এই বর্জ্য যত্রতত্র ফেলা নিয়ে অভিযোগ এসেছে। আমরা ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy