প্রতীকী ছবি
করোনা-আতঙ্কে মানুষের ভুল ধারণা থেকে রেহাই নেই ডাক্তারদেরও। এ বার পঞ্চসায়রের একটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগী মেলার পরে সেখানকার মহিলা ডাক্তারকেও তাঁরই পড়শিদের একাংশের হাতে হেনস্থা হতে হল বলে অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি সামলাতে লালবাজারকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
অথচ রূপশ্রী দাশগুপ্ত নামে ওই স্ত্রীরোগ চিকিৎসকের সঙ্গে করোনা রোগীর কোনও সংস্রব ছিল না। তা ছাড়া নিয়মিত হাসপাতালে পর্যাপ্ত সুরক্ষা নিয়েই যে তাঁরা কাজ করছেন, তা-ও ওই আবাসিকদের জানানো হয়। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রূপশ্রীদেবীর ফ্ল্যাটে যাওয়ার সময়ে চালককে বাধা দেন আবাসন সমিতির নিযুক্ত কয়েক জন কর্মচারী। তাঁদের নিদান, আবাসনে অন্য হাসপাতালের ডাক্তারদের গাড়িচালক ঢুকতে পারবেন। কিন্তু ওই হাসপাতালের ডাক্তারের চালক নন। রূপশ্রীদেবীর বক্তব্য, ‘‘আমি বোঝাতেও কাজ হয়নি। উল্টে আমায় বলা হয় আমিই রোগ ছড়াচ্ছি। তখন বাধ্য হয়ে লালবাজারে পরিচিত পুলিশকর্তাকে ফোন করি। এর পরেই আবাসনে দু’জন পুলিশকর্মী পাঠানো হয়। তাঁরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মানতেই হবে।” লালবাজার সূত্রের খবর, ওই আবাসনের সমিতিকে বোঝানো হয়েছে। ডাক্তারের কাজে বাধা দেওয়া চলবে না।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রথম করোনা আক্রান্ত যুবকের খোঁজ মিলেছিল ওই আবাসনেই। তার পরেই আবাসনের সর্বত্র জীবাণুমুক্ত করার কাজও করা হয়েছিল। সেই আতঙ্কের জেরে কয়েক জন বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ির অভিযোগ আসছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy