সল্টলেক পুর ভবন
পুর ভবনে কর্মী-আধিকারিকদের হাজিরা নথিভুক্ত করার বায়োমেট্রিক যন্ত্র, দরজার হাতল, লিফটের বোতাম-সহ যে সব জায়গায় লোকজনের হাতের স্পর্শ লাগে, সেগুলি নির্দিষ্ট সময় অন্তর জীবাণুমুক্ত করা হবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কী করণীয়, সেই রূপরেখা ঠিক করতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে মঙ্গলবার জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষ। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি নেওয়া হয়েছে আরও একগুচ্ছ পরিকল্পনা। সচেতনতা বাড়াতে কী পদক্ষেপ করতে পারেন পুর কর্তৃপক্ষ, সে সম্পর্কে পুরকর্তা এবং আধিকারিকদের সবিস্তার ব্যাখ্যা দেন জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা।
পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সচেতনতার প্রচারে ওয়ার্ড পিছু ৫০টি পোস্টার দেওয়া হচ্ছে। বাংলা ও ইংরেজি মিলিয়ে ৪০ হাজার বড় লিফলেট বিলি করা হবে। ৩০০ ফ্লেক্স এবং হোর্ডিং লাগানো হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে। পুর ভবনে যাঁরা বিভিন্ন কাজে আসছেন, তাঁদের এবং কর্মী-আধিকারিকদের জন্য মঙ্গলবার থেকেই ভবনের প্রবেশপথে হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার মজুত রাখা হয়েছে। ধাপে ধাপে বরো এবং ওয়ার্ড অফিসেও তা রাখা হবে বলে খবর।
এর পাশাপাশি সড়কপথে বা বিমানে বিদেশ থেকে বিধাননগরে এসেছেন, এমন ৬১ জনের তথ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে পুরসভায় পাঠানো হয়েছে। তাঁদের শারীরিক অবস্থা এখন কেমন, সেই খোঁজ রাখা হচ্ছে। এ দিনের বৈঠকে প্রস্তাব উঠেছে, প্রতিটি ওয়ার্ডের ওষুধের দোকানগুলিতে নজরদারি চালানো হোক। সেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার এবং মাস্ক রয়েছে কি না, সেগুলি কালোবাজারির চেষ্টা হচ্ছে কি না— তা-ও নজরে রাখা হোক।
বাসিন্দাদের কথায়, সল্টলেক-সহ গোটা বিধাননগর পুর এলাকায় শুধু যে আবাসিকেরাই থাকেন তা নয়। অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল থেকে শুরু করে শপিং মল, রেস্তরাঁ, বিনোদন পার্ক রয়েছে। খাস কলকাতা বিমানবন্দর পুর এলাকার আওতায়। সব মিলিয়ে কয়েক লক্ষ লোক প্রতিদিন যাতায়াত করেন। সেখানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে নানা সময়ে নানা তথ্য ছড়াচ্ছে। কিছু কিছু তথ্য ঘিরে দেখা দিচ্ছে বিভ্রান্তিও। অবিলম্বে সেই বিভ্রান্তি দূর করতে প্রচার চালাক প্রশাসন।
পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁদের পরিচালিত হাসপাতালগুলিতে পরিকাঠামো তৈরি রাখা হচ্ছে। সংক্রমণ ঠেকাতে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে। রোগ প্রতিরোধে সর্বাধিক জোর দেওয়া হচ্ছে। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানান, স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী এ দিন থেকেই করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় কাজ শুরু করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy