সুরক্ষা: বিশেষ পোশাক পরে বাসের চালক ও কন্ডাক্টর। নিজস্ব চিত্র
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলছে লকডাউন। তার মধ্যেই বিমানবন্দরে আসা যাত্রীদের জন্য মঙ্গলবার বিশেষ বাস পরিষেবা দিল রাজ্য পরিবহণ নিগম।
৫০টিরও বেশি ভলভো বাসে করে বিমানবন্দর থেকে কয়েকশো যাত্রীকে শহরের বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয় এ দিন। সংক্রমণ এড়াতে বাসকর্মীদের জন্য শরীর ঢাকা বিশেষ পোশাকের ব্যবস্থা করেছিল পরিবহণ দফতর। বাসগুলিকেও বিশেষ ভাবে দফায় দফায় জীবাণুমুক্ত করা হয় এ দিন। সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েও শ’খানেক পরিবহণকর্মী যে ভাবে দিনভর পরিষেবা দিয়েছেন, তার প্রশংসা করেছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘এমন পরিস্থিতির মধ্যেও চালক-কন্ডাক্টর এবং কর্মীরা যে ভাবে নিজেরা এগিয়ে এসে পরিষেবা দিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। সব কৃতিত্বই ওঁদের।’’
প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেল থেকে এ রাজ্যে সড়ক পরিবহণ বন্ধ হয়ে গেলেও অন্তর্দেশীয় উড়ান চালু ছিল। উড়ান পরিষেবা চালু থাকার শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার। ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাত্রীরা এসে নামার পরে বিমানবন্দরেই তাঁদের আটকে পড়ার আশঙ্কা ছিল। সে কথা মাথায় রেখেই এ দিন বিশেষ বাস পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে অবশ্য যাত্রীদের নিয়ম মাফিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় বলে খবর।
লকডাউন শুরু হওয়ার পরে সার্বিক পরিবহণ বন্ধ থাকলেও হাসপাতালগুলিতে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগীর পরিজনদের কথা ভেবে একটি বিশেষ বাস পরিষেবার পরিকল্পনা করেছে পরিবহণ দফতর। তবে শহর জুড়ে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কার মধ্যে বাসকর্মীরা আদৌ কাজে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। আশঙ্কা ছিল বিমানবন্দর থেকে যাত্রীদের আনা নিয়েও।
সেই কারণেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে বাসচালক ও কন্ডাক্টরদের জন্য বিশেষ পোশাক এবং মাস্কের ব্যবস্থা করে রাজ্য পরিবহণ নিগম। বাসচালকদের পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যানিটাইজ়ার দেওয়ার পাশাপাশি বাসগুলিকে বিশেষ ভাবে জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থাও করা হয়। এই সব ব্যবস্থার পরে নিজেদের সুরক্ষা সম্পর্কে কিছুটা নিশ্চিত হন চালক ও কন্ডাক্টরেরা। তার পরেই তাঁরা পরিষেবা দিতে এগিয়ে আসেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy