ছবি: সংগৃহীত।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে সোমবার কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ বছর সাতান্নর ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
রাজ্যে প্রথম মৃত ব্যক্তির সৎকার নিয়ে এর পর শুরু হয় নানা জটিলতা। দুপুর গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও তাঁর দেহ পোড়ানো নিয়ে নানা টালবাহানা চলে। মৃতের আত্মীয়েরা দেহ নিতে অস্বীকার করেন। প্রশাসনের সহযোগিতায় শববাহী গাড়িতে করে নিমতলা মহাশ্মশানে নিয়ে গেলেও সেখানেও দেখা দেয় সমস্যা।
এলাকাবাসীদের আপত্তি তোলেন শ্মশানে তাঁর দেহ পোড়ানো যাবে না। এ নিয়ে পুলিশ-প্রশাসন হস্তক্ষেপ করে। কিন্তু তার পরেও জটিলতা কাটেনি। পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা বিষয়টি বোঝানাোর চেষ্টা চালিয়ে যান। অবশেষে রাত পৌনে ১২টা নাগাদ ওই ব্যক্তির দেহ সত্কার করা হয়।
জটিলতা শুরু হয়েছিল ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর থেকেই। ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ মেনে দেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে দেহ নেওয়া নিয়ে শুরু হয় টালবাহানা। হাসপাতালের তরফে অনেক চেষ্টা করেও নেওয়ার মৃতের পরিজনকে পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত এক আত্মীয়র খোঁজ মেলে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির সময় যে আত্মীয় কাগজপত্রে সই করেছিলেন, প্রাথমিক ভাবে সেই ব্যক্তির খোঁজ মিলছিল না। পরে খোঁজ মিললেও দেহ নিয়ে অস্বীকার করেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাজ্যের এই অবস্থা! করোনা টেস্টের যোগ্য নয় কোনও বেসরকারি ল্যাব
মৃতের স্ত্রী ও পরিজনেরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এম আর বাঙ্গুর হাসপাতাল ভর্তি রয়েছেন। ফলে পরিবারের কারও হাতে দেহ তুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি। এর পর শববাহী গাড়িও পাওয়া যায়নি। করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় ওই দেহ নিতে রাজি হয়নি কেউ। এ ভাবেই প্রায় চার ঘণ্টা অতিক্রান্ত হয়ে যায়। এর পর কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে শববাহী গাড়ি ঠিক করা হয়। শেষমেশ বিধাননগর পুলিশের সহায়তায় এবং কলকাতা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে রাতে নিমতলা মহাশ্মশানে পৌঁছয় ওই ব্যক্তির দেহ। শ্মশানে পৌঁছনোর পর শুরু হয় নতুন বিপত্তি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়ায় ওই শ্মশানে তা পোড়ানো যাবে না বলে আপত্তি তোলেন স্থানীয় বাসিন্দা-সহ ডোমেরা। এর পর লালবাজার থেকে আরও পুলিশ পৌঁছয় শ্মশানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy