Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

ডেঙ্গি রোধে পুকুর সংস্কারে নজর দমদমে

ডেঙ্গি সংক্রমণরোধে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নলতা বকুলতলা রোডে একটি মজে যাওয়া জলাশয় সংস্কার করেছে দমদম পুরসভা। সেই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে এ বার পুরসভার বাকি ১৫টি ওয়ার্ডেও এ ধরনের মজে যাওয়া জলাশয় সংস্কারের দাবি উঠল।

একটি পুকুর সাফাইয়ের কাজ চলছে।

একটি পুকুর সাফাইয়ের কাজ চলছে।

সৌরভ দত্ত
শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৮ ০২:৩৬
Share: Save:

সাতে আছি, তা হলে বাকি পনেরোয় নয় কেন! ডেঙ্গি সংক্রমণরোধে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নলতা বকুলতলা রোডে একটি মজে যাওয়া জলাশয় সংস্কার করেছে দমদম পুরসভা। সেই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে এ বার পুরসভার বাকি ১৫টি ওয়ার্ডেও এ ধরনের মজে যাওয়া জলাশয় সংস্কারের দাবি উঠল।

সম্প্রতি ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে পরিত্যক্ত জমি, বাড়ি এবং বাড়ির ভিতরে জমে থাকা আবর্জনা অবিলম্বে পরিষ্কার করার জন্য নাগরিকদের সতর্ক করে পুর এলাকায় বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়েছে পুরসভা। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোনও বাড়িতে ডেঙ্গি সংক্রমণ ছড়ানোর উপযুক্ত পরিবেশ পাওয়া গেলে পুর আইন অনুযায়ী

সংশ্লিষ্ট বাড়িমালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নলতা বকুলতলা রোডে তৃণমূলের কার্যালয়ের পাশে একটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন পুকুর মজে গিয়ে ডেঙ্গি সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলেছিল।

পুকুরটির আশপাশে বহুতলের বাসিন্দারা তো বটেই, স্থানীয়েরাও সেটিকে আবর্জনা ফেলার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করতেন। ডাবের খোল, চায়ের ভাঁড়, প্লাস্টিকের কাপ-সহ পরিত্যক্ত পাত্রে জল জমে সেখানে ক্রমশ মশার বংশবৃদ্ধির সহায়ক পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। আস্ত জলাশয়টি ভরে গিয়েছিল আগাছা আর জঙ্গলে। এ

ব্যাপারে পুরসভার ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। অবশেষে বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ওই পুকুর সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। চেয়ারম্যান হরীন্দ্র সিংহ এবং ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্টের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সম্প্রতি যন্ত্রের সাহায্য ওই মজে যাওয়া জলাশয় সংস্কারে

তৎপর হন চেয়ারম্যান পারিষদ তথা স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর রবীন দেরিয়া।

স্থানীয় সূত্রের খবর, ১৯৯৪ সালে পঞ্চায়েত থাকাকালীন পুকুর-সহ প্রায় ৩৫ কাঠা জমি কেনেন স্বপন সেন, বাবলু বসু, অসীম বিশ্বাস এবং রতন সিংহ। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এক সময়ে পুকুরে কচুরিপানা, আগাছা জন্মে সেটি মজে যায়। স্বপনবাবুর দাবি, পুকুরটি সংস্কারের জন্য প্রাথমিক ভাবে তিনি আড়াই হাজার টাকা দিয়েছেন। সংস্কারের খরচ বাবদ পুরসভা থেকে মোট ১৫ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে তাঁর থেকে। তা তিনি দেবেন বলেও জানিয়েছেন স্বপনবাবু। যদিও এ নিয়ে কাউন্সিলর রবীনবাবু বলছেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে টাকা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন পুরসভা নিজের খরচে ওই জলাশয় উদ্ধারের কাজ করেছে। কোনও টাকা নেওয়া হবে না।’’

পুর এলাকার বাকি জলাশয়গুলি সংস্কারের কী হবে? এ প্রসঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যান বলছেন, ‘‘যেখানে যেখানে এ ধরনের মজে যাওয়া জলাশয় রয়েছে, সেখানে জল বার করে ছাড়ব। পুরপ্রধানের সম্মতিতে এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Environment Pollution Environmental Pollution
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE