প্রতীকী চিত্র।
সুরেন্দ্রনাথ কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নামে টাকা তোলার চক্রে জড়িত বলে এক অভিযুক্তের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি রবিকৃষণ কপূরের ডিভিশন সোমবার মহম্মদ আব্দুল আজিজ নামে ওই অভিযুক্তের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়।
হাইকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায় ও আইনজীবী অন্তরীক্ষ বসু জানান, শ্রেয়সী পাত্র নামে এক ছাত্রী মুচিপাড়া থানায় অভিযোগ জানান, আজিজ সুরেন্দ্রনাথ কলেজে প্রাণিবিদ্যা অনার্সে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নামে ৩০ হাজার টাকা চাইছেন। তাঁর দাবি ছিল, কলেজে ভর্তির মেধা-তালিকায় শ্রেয়সীর নাম থাকবে। কিন্তু তালিকা বেরোলে দেখা যায়, ওই ছাত্রীর নাম নেই। উল্টে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার সব নথি আজিজ নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। তা ফেরত দিচ্ছেন না। ৩ জুলাই মুচিপাড়া থানা এলাকার একটি জায়গায় জসিমুদ্দিন নামে এক যুবকের সঙ্গে দেখা করে ৩০ হাজার টাকা দিতে বলেন আজিজ। বলেছেন, ওই টাকা দিলে তবেই তিনি নথি ফেরত দেবেন।
পিপি জানান, পুলিশ সাদা পোশাকে শ্রেয়সীকে নিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় যায় এবং জসিমুদ্দিনের হাতে টাকা জমা পড়া মাত্রই তাঁকে গ্রেফতার করে। তাঁকে জেরা করে জানা যায়, একটি হস্টেলের সুপারের কাছে ওই ছাত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সব নথি জমা রেখে আজিজ পালিয়ে গিয়েছেন। পুলিশ ওই হস্টেলের সুপারের কাছ থেকে সে-দিনেই সব নথিপত্র উদ্ধার করে ছাত্রীকে ফেরত দেয়। ফেরত দেওয়া হয় টাকাও।
এ দিন আজিজের আইনজীবী মহম্মদ আসরাফ আলি তাঁর মক্কেলের আগাম জামিন চেয়ে আদালতে জানান, গোটা ঘটনায় জসিমুদ্দিন জড়িত। আজিজ নন। পিপি আদালতে ওই হস্টেল সুপারের বয়ান পেশ করেন। তিনি আরও জানান, হস্টেল সুপার তদন্তকারী পুলিশ অফিসারকে জানিয়েছেন, আজিজই এক ছাত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সব নথিপত্র তাঁর কাছে রেখে গিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy