প্রতীকী ছবি।
বাড়ি ফেরার পথে বান্ধবীর বাড়ি যাওয়ার নাম করে বাঘা যতীন স্টেশনে নেমেছিল এক নাবালিকা। তার পর থেকেই খোঁজ মিলছিল না তার। নিখোঁজ ছিল তার বান্ধবীও। ওই দুই নাবালিকাকে পাচারের চেষ্টার অভিযোগে বুধবার নগেন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তবে পাচার হওয়ার আগেই ওই দুই নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে রেল পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই নাবালিকাদের হোমে পাঠানো হয়েছে। ধৃতকে বৃহস্পতিবার শিয়ালদহ আদালতে হাজির করা হলে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার রাতে শিয়ালদহ থেকে বাবা ও দাদুর সঙ্গে বাড়ি ফেরার সময়ে বাঘা যতীন স্টেশনে নামে মথুরাপুর থানার বাসিন্দা, নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী। তার বাবা জানাচ্ছেন, নেতাজিনগরের এক বান্ধবীর বাড়ি যাওয়ার নাম করে ট্রেন থেকে নেমেছিল মেয়েটি। কিন্তু তার পর থেকে মেয়ের খোঁজ না পেয়ে রবিবার যাদবপুর জিআরপি-তে অভিযোগ দায়ের করেন তার বাবা। একই সঙ্গে খোঁজ মিলছিল না তার বান্ধবীরও। নেতাজিনগর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার পরিজনেরাও।
রেল পুলিশ সূত্রের খবর, মথুরাপুরের ওই নাবালিকা স্থানীয় একটি স্কুলের হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। তদন্তকারীরা সেখানে কথা বলে জানতে পারেন, ওই নাবালিকার সঙ্গে মাঝেমধ্যেই কথা বলতে দেখা যেত তার এক সহপাঠীর বাবা নগেনকে। কখনও কখনও মেয়েটি বারুইপুরে নগেনের বাড়িতেও যেত বলে জানতে পারে পুলিশ। এর পরেই নগেনকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়। তদন্তকারীদের দাবি, প্রশ্নের মুখে অসংলগ্ন কথা বলতে থাকে নগেন। বুধবার সন্ধ্যায় ফের ডেকে পাঠিয়ে জেরা করতে শুরু করলে নগেন স্বীকার করে, শনিবার রাতে ওই দুই নাবালিকা তার বাড়ি আসে। তার পরে দু’জনকেই এক অবাঙালি যুবকের হাতে তুলে দিয়েছে সে। তবে তারা এখনও বালিগঞ্জ স্টেশন চত্বরেই রয়েছে বলে পুলিশকে জানায় নগেন।
এর পরে ওই রাতেই স্টেশন থেকে উদ্ধার করা হয় ওই দুই নাবালিকাকে। তবে ওই অবাঙালি যুবকের খোঁজ মেলেনি। নগেন পাচার চক্রের অন্যতম পাণ্ডা বলে দাবি করছেন তদন্তকারীরা। শিয়ালদহের রেল পুলিশ সুপার অশেষ বিশ্বাস বলেন, ‘‘পাচার চক্রের শিকড় অনেক গভীরে। তদন্তকারীরা গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। চক্রের সব পাণ্ডাকেই ধরা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy