Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
CPIM

বাম বিধায়ককে ‘নিগ্রহ’ আর জি করে

বিধানসভার অধিবেশন সেরে প্রত্যয়কে দেখতে হাসপাতালে আসেন পাণ্ডুয়ার সিপিএম বিধায়ক শেখ আমজাদ হোসেন। তিনি মূল ভবনে ঢুকতে গেলে রক্ষীরা পরিচয়পত্র দেখতে চান।

আর জি কর হাসপাতাল। ফাইল চিত্র

আর জি কর হাসপাতাল। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২০ ০২:৪০
Share: Save:

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীকে দেখতে এসে সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে নিগৃহীত হওয়ার অভিযোগ তুললেন এক বাম বিধায়ক।

হুগলি জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছেলে প্রত্যয় মুখোপাধ্যায়কে বুধবার অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় চুঁচুড়া হাসপাতাল থেকে আর জি করে নিয়ে আসা হয়। বিধানসভার অধিবেশন সেরে প্রত্যয়কে দেখতে হাসপাতালে আসেন পাণ্ডুয়ার সিপিএম বিধায়ক শেখ আমজাদ হোসেন। তিনি মূল ভবনে ঢুকতে গেলে রক্ষীরা পরিচয়পত্র দেখতে চান। আমজাদের দাবি, তিনি পরিচয়পত্র দেখালে সেটি পুরনো বলে বাতিল করে দেন হাসপাতালের সিকিওরিটি ইন-চার্জ। তাঁর বক্তব্য ছিল, বিধায়কদের নতুন যে পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে সেটি দেখাতে হবে।

আমজাদ বলেন, ‘‘বিধানসভায় ঢোকার জন্য আমার নিরাপত্তারক্ষীর কাছে যে অনুমতিপত্র ছিল, সেটি দেখানো হলেও হাসপাতালের রক্ষীরা মানতে চাননি।’’ এই পরিস্থিতিতে দু’পক্ষে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। বিধায়কের কথায়, ‘‘এক সময়ে সুপারের কাছে যেতে বলে আমার কার্ড এবং রক্ষীর মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়।’’ তাঁর অভিযোগ, এমন আচরণের প্রতিবাদ জানালে হাসপাতালের অন্তত ১০-১২ জন নিরাপত্তারক্ষী তাঁর রক্ষীর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন আমজাদও। পরে তিনি বলেন, ‘‘মাফলার ধরে টানতে টানতে আমাকে ভিতরে নিয়ে যাচ্ছিল। কোনও মতে মাফলার ছাড়িয়ে বাইরে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীর সাহায্য চাই।’’

এর পরে দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন টালা থানার পদস্থ আধিকারিকেরা। বিধায়ক দাবি করেছেন, মারধরে তাঁর শীতবস্ত্র, জামার বোতাম ছিঁড়ে গিয়েছে। হাতেও চোট লেগেছে। শহর কলকাতায় হাসপাতাল চত্বরে এক জন বিধায়কের উপরে এ ধরনের আক্রমণ ‘গুন্ডামি’র শামিল বলে মনে করছেন বিরোধীরা। আমজাদ বলেন, ‘‘রক্ষীদের চাকরির কথা ভেবে অভিযোগ করিনি। পুলিশ এবং হাসপাতালের সুপার স্বতঃপ্রণোদিত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।’’ আজ, বুধবার বিষয়টি বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাবেন বলেও জানিয়েছেন আমজাদ।

অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে আর জি করের সুপার মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। এসএমএস-এরও উত্তর আসেনি। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) শুভঙ্কর সিংহ সরকারের প্রতিক্রিয়া, ‘‘এমন কোনও খবর জানা নেই।’’ যার পরিপ্রেক্ষিতে বিধায়ক জানান, কী ঘটেছে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

CPIM R G Kar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE