কলকাতা পুরসভার নতুন মেয়র পারিষদ বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়ের ডাকা এক বৈঠককে ঘিরে বৃহস্পতিবার ‘বিতর্ক’ শুরু হয় পুরভবনে। বৈঠকে হাজির হওয়ায় তাঁকে অপমানিত হতে হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সিপিএমের কাউন্সিলর রত্না রায়মজুমদার। যদিও পুর প্রশাসন সূত্রের দাবি, কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। ঘটনাটি মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কানে পৌঁছলে তিনিও জানিয়ে দেন, এটা ঠিক হয়নি।
এ দিন পুরসভার কনফারেন্স রুমে ডাকা ওই বৈঠকের বিষয় ছিল, শহরে গীতাঞ্জলি এবং সবার জন্য ঘর প্রকল্পের কাজ কতটা হয়েছে, তার হিসেব নেওয়া। সম্প্রতি ওই দফতরের দায়িত্ব নিয়ে মেয়র পারিষদ হয়েছেন বৈশ্বানর। মূলত তিনিই চিঠি দিয়ে বরো চেয়ারম্যান এবং কয়েক জন কাউন্সিলরকে বৈঠকে হাজির থাকতে বলেছিলেন। সেই চিঠি পৌঁছেছিল ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাম কাউন্সিলর রত্নার কাছেও। তিনি পুরসভায় সিপিএম দলের নেত্রীও। বেলা ১২টায় ডাকা ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন মেয়র পারিষদ, পুর কমিশনার, বেশ কয়েক জন বরো চেয়ারম্যান এবং আট জন কাউন্সিলর। রত্নাও চিঠি পেয়ে হাজির ছিলেন সেখানে।
পুরসভা সূত্রের খবর, তাঁকে দেখেই পুর কমিশনার জানতে চান, তিনি ওই বৈঠকে কেন এসেছেন? রত্না পরে বলেন, ‘‘আমি তখন পুর কমিশনারকে বলি, আমাকে বৈঠকে ডাকা হয়েছে। তার চিঠিও দেখাই।’’ এর পরেই আর কিছু বলেননি পুর কমিশনার। বৈশ্বানর জানান, রত্না তাঁর এলাকায় কিছু কাজের প্রসঙ্গও তোলেন। সেই প্রসঙ্গ শেষ হতেই বৈঠক ছেড়ে যাওয়ার আগে রত্না জানিয়ে দেন, পুরকর্তার কথায় তিনি যথেষ্ট অপমানিত হয়েছেন। রত্না বলেন, ‘‘মেয়র ফিরহাদ হাকিমকেও বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি শুনে দুঃখপ্রকাশ করেছেন।’’ এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পুর কমিশনার খলিল আহমেদ অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ দিকে, চিঠির খবর কেন পুর কমিশনারের কাছে ছিল না, তার খোঁজ নেওয়া শুরু হয়। পরে জানা যায়, ভুল করে রত্নার কাছে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছিল। কে, কার নির্দেশে সেই চিঠি রত্নাকে পাঠালেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy