ফাইল চিত্র।
মাঝেরহাট সেতু নিয়ে তোলা প্রস্তাব পুরসভার অধিবেশন থেকে বাদ পড়ায় বৃহস্পতিবার প্রবল হইচই বাধে কলকাতা পুরসভায়। বাম কাউন্সিলরদের অভিযোগ, সেতুটি কলকাতায়। সুতরাং শহরবাসীর নিরাপত্তা জড়িত বলেই আলোচনার জন্য প্রস্তাবটি পুরসভার চেয়ারপার্সনের কাছে জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। চেয়ারপার্সন মালা রায় বাম কাউন্সিলরদের শান্ত হওয়ার নির্দেশ দিলেও কোনও কাজ হয়নি। উপরন্তু শাসক দলের তরফেও চিৎকার শুরু হয়। এক সময়ে প্রতিবাদ জানিয়ে বাম কাউন্সিলরেরা অধিবশেন কক্ষ বয়কট করেন।
এ দিন পুরসভার মাসিক অধিবেশন শুরুর পর থেকেই দফায় দফায় হইচই হতে থাকে। কেরল নিয়ে শোকপ্রস্তাব থেকে শুরু করে শহরের ডেঙ্গি পরিস্থিতি চাপা দেওয়া নিয়ে প্রশ্নের জবাব না পাওয়া এবং সেতু নিয়ে প্রস্তাব তুলতে না দেওয়া নিয়ে চলে তুমুল বাগবিতণ্ডা। অধিবেশনের প্রথমে প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ হতেই প্রকাশ উপাধ্যায়কে ডাকা হয় তাঁর তোলা মুলতবি প্রস্তাবের পক্ষে বক্তব্য রাখতে। তিনি মাইক ধরতেই বাম কাউন্সিলর মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী, রত্না রায়মজুমদার, দেবাশিস মুখোপাধ্যায়েরা চিৎকার শুরু করে দেন। তাঁদের প্রশ্ন ছিল, মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার জন্য দায়ী কে? দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে— তা অধিবেশনে তুলতে চেয়ে চেয়ারপার্সনের কাছে প্রস্তাবও জমা দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তিনি তা বাতিল করেন।
চেয়ারপার্সন মালাদেবী বলতে থাকেন, একই বিষয়ে কংগ্রেসের প্রকাশ উপাধ্যায় আগেই প্রস্তাব জমা দিয়েছিলেন। তাই পুর আইন মেনেই বামেদের তোলা প্রস্তাব বাদ দেওয়া হয়েছে। পাল্টা অভিযোগে বামেরা বলতে থাকেন, প্রকাশবাবুর তোলা প্রস্তাব শাসক দলের পক্ষে ছিল বলেই তা মেনে নেওয়া হয়েছে। আর তাঁদের তোলা প্রশ্নের জবাব নেই বলে চেয়ারপার্সন বামেদের কণ্ঠ রোধ করতে চেয়েছেন বলে তাঁদের অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy