এ ভাবেই ফুড সাপ্লিমেন্টের মধ্যে লুকিয়ে পাচার করা হচ্ছিল সোনা।
মেটাল ডিটেক্টর বারবারই জানান দিচ্ছিল ধাতব পদার্থের উপস্থিতি। কিন্তু খালি চোখে তা ধরে সাধ্যি কার! দেখতে নেহাতই খাবারের গুঁড়ো। তার মধ্যেই লুকিয়ে ছিল প্রায় এক কিলোগ্রাম ওজনের সোনা। শনিবার সোনা পাচারের অভিযোগে দমদম বিমানবন্দরে এয়ার ইনটেলিজেন্স ইউনিট এক যুবককে গ্রেফতার করেছে।
শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি বিমানে দুবাই থেকে কলকাতায় আসেন। তাঁর হাত ব্যাগে প্রচুর ফুড সাপ্লিমেন্ট ছিল। চেকিংয়ের সময় সেই ফুড সাপ্লিমেন্ট দেখে সন্দেহ হয় ইনটেলিজেন্স ইউনিটের অফিসারদের। কারণ, আপাতদৃষ্টিতে প্ল্যাস্টিকের প্যাকেটে থাকা ফুড সাপ্লিমেন্টের কাছে মেটাল ডিটেক্টর নিয়ে গেলেই ধাতব পদার্থের জানান দিচ্ছিল সেটা। তাতেই সন্দেহ হয় অফিসারদের।
অনেক ক্ষণ ধরে ফুড সাপ্লিমেন্ট পরীক্ষা করে তার থেকে সোনার গুঁড়ো উদ্ধার হয়। সেই গুঁড়ো আলাদা করে গলিয়ে তা থেকে দু’টো সোনার বার বানিয়েছে শুল্ক দফতর। তারপর তা ওজন করলে জানা যায়, ওই যুবক লুকিয়ে ৯৭০ গ্রাম সোনা নিয়ে এসেছিলেন। যার বাজার মূল্য ২৯ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ওসি-র ঘরে দুই বন্দিনী, চম্পট দিল সিসিটিভি দেখে, বিমানবন্দর থানায়
কখনও জুতোর সোলে, কখনও টেপ দিয়ে শরীরে মধ্যে জড়িয়ে তো কখনও পায়ুদ্বারে করে — নানা উপায়ে সোনা পাচারের উগাহরণ রয়েছে। সম্প্রতি হায়দরাবাদের বিমানবন্দরে আবার একটা পাত্রের মধ্যে সোনার পেস্টও উদ্ধার করে শুল্ক দফতর। যা দেখে শুল্ক দফতরের অফিসারেরা প্রথমে মানুষের মল ভেবে ভুল করেছিলেন। তবে এই ভাবে ফুড সাপ্লিমেন্টে সোনার গুঁড়ো মিশিয়ে পাচারের চেষ্টা যে অভিনব, তা মেনে নিচ্ছেন গোয়েন্দারাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy