অর্ধনিমগ্ন: আবাসনের বেসমেন্টে জমে থাকা জলে এখনও দাঁড়িয়ে বহু গাড়ি। শুক্রবার, বি টি রোডে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
আমপানের হামলায় অসংখ্য গাছ এবং বিদ্যুতের খুঁটি উপড়েছে তো বটেই। তার প্রলয় থেকে রক্ষা পায়নি শহরের কয়েকটি আবাসনের বেসমেন্টে রাখা গাড়িও। প্রবল বৃষ্টিতে বেসমেন্ট ভেসে যাওয়ায় সেগুলি ডুবে গিয়েছে পুরোপুরি। টানা পাম্প চালিয়ে খানিকটা জল বার করে আপাতত গাড়ি উদ্ধার করতে ব্যস্ত ওই সব আবাসনের বাসিন্দারা। এত ক্ষণ জলে ডুবে থাকায় গাড়িগুলি কতটা সচল রয়েছে, সেটাই এই মুহূর্তে তাঁদের প্রধান চিন্তা।
বি টি রোডের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীতে একটি ১২তলা আবাসনের বেসমেন্টে জল ঢুকে ডুবে গিয়েছে ১৭৫টির মতো গাড়ি। আবাসিকেরা জানান, বৃহস্পতি ও শুক্রবার একটানা পাম্প চালিয়ে খানিকটা জল বার করার পরে এখন গাড়িগুলি কিছুটা দেখা যাচ্ছে। ওই আবাসনের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘বুধবার ঝড়ের পরে নিরাপত্তারক্ষীরা আমাদের নীচে ডাকেন। গিয়ে দেখি, বেসমেন্ট পুকুর হয়ে গিয়েছে। এক জন প্রায় সাঁতরে গিয়ে দেখেন, সব গাড়ি ও মোটরবাইক ডুবে আছে।’’
ওই আবাসনের আবাসিক কমিটির সেক্রেটারি রাকেশ জৈন জানান, ঝড়ের সময়ে নিরাপত্তারক্ষীরা সিসি ক্যামেরায় দেখেন, বেসমেন্টে জল ঢুকছে। রাকেশ বলেন, ‘‘বৃষ্টি এতই জোরে হয়েছে যে বেসমেন্টে থাকা একটি পাম্প দিয়ে জল বার করা হলেও তা কোনও কাজে আসেনি। আবাসন তৈরির পরে এমন ঘটনা এই প্রথম।’’
প্রায় একই অবস্থা গড়িয়াহাটের ম্যান্ডেভিল গার্ডেনের একটি বহুতলে। সেখানকার আবাসিকেরা জানাচ্ছেন, বৃষ্টিতে তাঁদের আবাসনের বেসমেন্টে রাখা অন্তত ২০-২৫টি গাড়ি ডুবে গিয়েছে। গত দু’দিন পাম্প চালানোর পরে এখন গাড়িগুলি কিছুটা দেখা যাচ্ছে। আবাসনের এক বাসিন্দা রঙ্গন কোলে বলেন, ‘‘জল যখন হু হু করে বেসমেন্টে ঢুকছে, তখন চেষ্টা করেছিলাম আটকাতে। কিন্তু সম্ভব হয়নি।’’ রঙ্গনবাবু জানান, গাড়িগুলি কতটা ঠিক আছে, তা মিস্ত্রিরাই বলতে পারবেন। কিন্তু এই লকডাউনের মধ্যে মিস্ত্রি পাওয়াও অনিশ্চিত। আবার নিজেরাই গাড়ি চালু করার চেষ্টা করলে তা আরও খারাপ হয়ে যাওয়ার
আশঙ্কা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy