Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

পুজোর পরে ফের শুরু হতে পারে ‘দেখো রে’

লালদিঘির ধারে কলকাতা পুরসভা ও রাজ্য পর্যটন দফতরের যৌথ উদ্যোগে স্থায়ী উৎসব ‘দেখো রে’ চালু হয়েছিল গত বছর এপ্রিল মাসে। উৎসবের মূল উদ্দেশ্য, প্রতি শনিবার ও রবিবার বিকেলে লালদিঘিতে একটা আড্ডার পরিবেশ গড়ে তোলা

লালদিঘিতে। নিজস্ব চিত্র

লালদিঘিতে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:৩৩
Share: Save:

সাত মাস পরে লালদিঘিতে আবার শুরু হতে পারে ‘দেখো রে’ অনুষ্ঠান। প্রাথমিক ভাবে তেমনটাই ঠিক হয়েছে বলে কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার পুরসভায় এই অনুষ্ঠান নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, আগামী ২৮ অক্টোবর লালদিঘির ধারে ওই অনুষ্ঠান শুরু হতে পারে। নতুন ভাবে ‘দেখো রে’ চালুর আগে তার প্রচারের উপরে আরও গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুরকর্তারা।
প্রসঙ্গত, লালদিঘির ধারে কলকাতা পুরসভা ও রাজ্য পর্যটন দফতরের যৌথ উদ্যোগে স্থায়ী উৎসব ‘দেখো রে’ চালু হয়েছিল গত বছর এপ্রিল মাসে। উৎসবের মূল উদ্দেশ্য, প্রতি শনিবার ও রবিবার বিকেলে লালদিঘিতে একটা আড্ডার পরিবেশ গড়ে তোলা। ওখানে তৈরি মঞ্চে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হত। সেই সঙ্গে লালদিঘির ধারে অস্থায়ী দোকানে বিভিন্ন নামী প্রতিষ্ঠানের বিরিয়ানি, চাউমিন থেকে বাংলার সন্দেশ, ল্যাংচা, রসগোল্লায় রসনাতৃপ্তির ব্যবস্থাও থাকত। কিন্তু কয়েক মাস চলার পরেই তা বন্ধ হয়ে যায়। গত বছরের বর্ষার পরে নভেম্বর থেকে ফের ওই অনুষ্ঠান শুরু হয়। চলে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত। পুর কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, বন্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত মোট ৪৯টি অনুষ্ঠান হয়েছে সব মিলিয়ে। মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, ‘‘পুজোর পরে আবার ‘দেখো রে’ চালু হবে। সকলে যাতে জানতে পারেন, তার জন্য অনুষ্ঠানের আগে প্রচারও ভাল ভাবে করা হবে।’’
যদিও গ্রেড ওয়ান হেরিটেজ তালিকাভুক্ত লালদিঘিতে ওই অনুষ্ঠান করার জন্য স্টল বসানো, জলের ব্যবস্থা-সহ পরিবর্তনের অনুমোদন নিয়ে বিতর্ক হয়েছে পুরসভায়। কারণ, অনুমোদন দেওয়ার প্রায় এক বছর পরে তা মেয়র পরিষদের বৈঠকে পাশ করানো হয়েছিল। যেখানে লালদিঘির মতো ঐতিহ্যবাহী এলাকার ক্ষেত্রে সামান্য পরিবর্তন হলেও তা সঙ্গে সঙ্গে জানার কথা, সে ক্ষেত্রে শুধু নিয়মমাফিক ‘পোস্ট-ফ্যাক্টো অ্যাপ্রুভাল’ নেওয়া হয়েছে বলে সরব হয়েছিলেন হেরিটেজ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তবে এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ পুর কর্তৃপক্ষ। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘মানুষের সুবিধার কথা ভেবেই ওখানে জলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আর এমন তো নয় যে অনুমোদন নেওয়া হয়নি। অনুমোদনও সময়মতো নেওয়া হয়েছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE