এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে হিরে চুরির ঘটনার কিনারা করল কলকাতা পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে অধিকাংশ হিরে। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে পাঁচ যুবক। তবে অধরা চক্রের মূল পাণ্ডা।
পুলিশ জানায়, গত ফেব্রুয়ারিতে চেতলার বাসিন্দা সুধীর সৎনামীওয়ালার বাড়ি থেকে চুরি যায় লক্ষাধিক টাকার হিরে ও সোনার গয়না। তদন্তে চেতলা থানার পুলিশ জানতে পারে, দেওঘরের ভৈরব যাদব ও পবন যাদব নামে দুই যুবক সন্তোষবাবুর বাড়িতে কাজ করত। কিন্তু হিরে চুরির কিছু দিন আগে থেকেই বেপাত্তা হয়ে যায় তারা। সন্দেহ হওয়ায় চেতলা থানার একটি দল দেওঘরে যায়। কিন্তু প্রথম বার খালি হাতে ফিরতে হয় তাদের। এর পরে দফায় দফায় দেওঘরে গিয়েও ভৈরব ও পবনের দেখা মেলেনি। তার পরেই পুলিশ কার্যত নিশ্চিত হয়, হিরে চুরি-কাণ্ডে ওই দুই যুবক জড়িত।
এর পরে দেওঘরের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে শুরু করে তদন্তকারী দলটি। শেষমেশ গত ২৯ মে দেওঘর থেকে ধরা পড়ে ভৈরব ও পবন। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের কলকাতায় এনে জেরা করে জানা যায়, হিরে চুরির সঙ্গে জড়িয়ে একটি গোটা চক্র।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার মূল চক্রী পবনের জামাইবাবু অশোক যাদব। সে-ও দেওঘরের বাসিন্দা। অশোক চুরি করা হিরে সরবরাহ করত নিউ টাউনের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী, আমতার ভোম্বল কর্মকারকে। ভোম্বলের মাধ্যমে সেই হিরে পৌঁছত আমতারই অভিজিৎ খানের কাছে। পুলিশ আরও জেনেছে, অভিজিতের সঙ্গে পরিচয় ছিল ডোমজুড়ের জনৈক হিরে ব্যবসায়ী বিকাশ থুন্দ্রের। বিকাশ ডোমজুড়ে হিরে ও সোনার ব্যবসা করলেও তার বাড়ি মহারাষ্ট্রে। ফলে অভিজিতের হাত ঘুরে বিকাশের কাছে হিরে পৌঁছনো মাত্রই তা চলে যেত মহারাষ্ট্রে।
পুলিশের আশা, মূল পাণ্ডা অশোককে ধরা গেলে বাকি হিরে উদ্ধার করা যাবে। পাশাপাশি, এই চক্রটি আগে কোনও চুরির ঘটনায় যুক্ত ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy