ছবি সংগৃহীত।
বিভ্রান্তি পুরোপুরি কাটল না এখনও। কলকাতা থেকে ছ’টি রাজ্যের সরাসরি উড়ান কবে থেকে চালু হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গিয়েছে। আপাতত ১৯ জুলাই পর্যন্ত কলকাতা থেকে দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, পুণে, আমদাবাদ ও নাগপুরের সরাসরি উড়ান বন্ধ রয়েছে। কিন্তু কয়েকটি ট্রাভেল সাইটে দেখা যাচ্ছে, ২০ বা ২১ তারিখেও কলকাতা থেকে দিল্লি, মুম্বইয়ের সরাসরি উড়ান নেই। সরাসরি উড়ান ২২ জুলাই থেকে।
ট্রাভেল এজেন্টস ফেডারেশনের পূর্ব ভারতের চেয়ারম্যান অনিল পঞ্জাবি জানিয়েছেন, তাঁদের সিস্টেমে ২০ তারিখ থেকে সরাসরি উড়ানের অস্তিত্ব দেখালেও যাত্রীরা টিকিট কাটতে এলে নিরুৎসাহ করছেন তাঁরাই। তাঁদের আশঙ্কা, ২০-২২ তারিখের টিকিট কাটার পরে ফের যদি নিষেধাজ্ঞা বাড়ে, তা হলে টিকিট বাতিল করার পরে সেই টাকা যাত্রীর নামে জমা পড়বে উড়ান সংস্থার ঘরে। টাকা আটকে থাকবে যাত্রীর। উড়ান সংস্থাগুলির নিজস্ব সাইটেও এখন ২০ জুলাই থেকে সরাসরি উড়ানের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেকেই সেই টিকিট কেটেও নিয়েছেন। কিন্তু উড়ান সংস্থাগুলির কর্তাদের বক্তব্য, সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য। তাই তাঁদের পক্ষে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব নয়।
উড়ান সংস্থাগুলির কর্তাদের আশঙ্কা, এই নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ করতে পারে রাজ্য। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, রাজ্যে সংক্রমণের হার বাড়ার জন্যই ওই সব রাজ্যগুলি থেকে সরাসরি উড়ান বন্ধের কথা বলেছিল তৃণমূল সরকার। তার পরে রাজ্যে সংক্রমণ কমেনি, উল্টে বেড়েছে। এখনও যদি রাজ্য মনে করে যে ওই সব শহর থেকে যাত্রীরা এলে কলকাতা তথা রাজ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারে, তা হলে আরও কিছু দিন সরাসরি উড়ান বন্ধ রাখার জন্য কেন্দ্রের উপরে চাপ দেওয়া হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুরোধ মেনে গত ৬ জুলাই ১৪ দিনের জন্য কলকাতা থেকে ওই ছ’টি শহরের সরাসরি উড়ান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল বিমান মন্ত্রক।
যদিও ৬ জুলাইয়ের পর থেকে যাঁদের জরুরি কারণে কলকাতা থেকে দিল্লি-মুম্বই-চেন্নাই যাতায়াতের প্রয়োজন ছিল, তাঁরা অন্য রাজ্য ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছেছেন। এমনকি, বিভিন্ন ট্রাভেল সাইটে এখনও কলকাতা থেকে পটনা, গুয়াহাটি, বাগডোগরা, আগরতলা, বারাণসী ঘুরে দিল্লির উড়ানের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। অনিলের কথায়, ‘‘সরাসরি উড়ান বন্ধ থাকায় মানুষ অন্য শহর দিয়ে ঘুরে যাতায়াত করছেন। তাতে সময় ও টাকা একটু বেশি লাগছে।’’
দিল্লি থেকে নবজাতককে নিয়ে কলকাতায় বাবা-মায়ের কাছে এসে আটকে গিয়েছেন রিমা ওয়াধওয়া। ১০ জুলাই ৬ মাসের ছেলেকে নিয়ে দিল্লিতে ফেরার কথা ছিল। তাঁর কথায়, ‘‘অতটুকু বাচ্চা নিয়ে সাত-আট ঘণ্টা যাত্রা করা মুশকিল। ২০ জুলাই থেকে সরাসরি উড়ান চলবে কি না, এ নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছি। শেষ মুহূর্তে বললে টিকিটের দাম বাড়বে। সরকারের দ্রুত সিদ্ধান্তের কথা জানানো উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy