Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

বিমানবন্দরের পরিকাঠামো বাড়াতে শুরু আলোচনা

‘মাটি থেকে আকাশ— বিমান পরিবহণের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক ওই আলোচনায় একটি বিমান সংস্থার ক্যাপ্টেন সর্বেশ গুপ্ত বলেন, ‘‘এমন ব্যবস্থা প্রয়োজন, যাতে রানওয়েতে নেমে দ্রুত তা খালি করে দিতে পারে বিমান। এর জন্য হাই স্পিড র‌্যাপিড ট্যাক্সিওয়ে তৈরি করতে হবে।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৮ ০৩:১০
Share: Save:

প্রতিদিনই বাড়ছে যাত্রীর সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিমানও।

ভারতের আকাশে এত বিমানকে জায়গা করে দিতে এখন ব্যবহৃত হচ্ছে সেনাবাহিনীর হাতে থাকা ‘সীমিত’ আকাশসীমাও। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বিমানবন্দরে নামতে এসে। বোতলের মুখের মতো জায়গাটা তখন ছোট হয়ে আসছে। তাই অবিলম্বে বিমানবন্দরের পরিকাঠামো বাড়ানো দরকার। শুক্রবার এ নিয়েই কলকাতায় শুরু হল তিন দিনের আলোচনা সভা। আয়োজনে বিমানবন্দরের ‘এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল’ (এটিসি) অফিসারদের নিয়ে তৈরি গিল্ড। নিউ টাউনে বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে এ বিষয়ে আলোচনা করতে হাজির হয়েছেন বিভিন্ন শহর থেকে আসা বিমান পরিবহণের বিশেষজ্ঞেরা।

‘মাটি থেকে আকাশ— বিমান পরিবহণের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক ওই আলোচনায় একটি বিমান সংস্থার ক্যাপ্টেন সর্বেশ গুপ্ত বলেন, ‘‘এমন ব্যবস্থা প্রয়োজন, যাতে রানওয়েতে নেমে দ্রুত তা খালি করে দিতে পারে বিমান। এর জন্য হাই স্পিড র‌্যাপিড ট্যাক্সিওয়ে তৈরি করতে হবে।’’ কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা অতুল দীক্ষিত জানিয়েছেন, শহরে এখন ঘণ্টায় ৩৮টি বিমান নামা-ওঠা করছে রানওয়ে দিয়ে। সর্বেশের দাবি, রানওয়ে তাড়াতাড়ি খালি করতে পারলে ঘণ্টায় আরও বিমান নামা-ওঠা করতে পারবে। তাতে আকাশে কম সময় অপেক্ষা করতে হবে।

আরও বেশি সংখ্যক পার্কিং বে তৈরির উপরেও জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। অধিকর্তা জানান, সে কাজও চলছে। বিমান কলকাতায় নামার পরে যাত্রী ও মালপত্র নামিয়ে, বিমান পরিষ্কার করে, জ্বালানি ভরে আবার যাত্রীদের নিয়ে উড়ে যাওয়ার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে ৪০ মিনিট সময় লাগে। সর্বেশের যুক্তি, ‘‘এই সময়টাকে কমিয়ে ২৫ মিনিট করে ফেললে অনেক সুবিধা হবে।’’

কলকাতার ‘এয়ার ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্ট’-এর জিএম কল্যাণ চৌধুরীর কথায়, ‘‘এক মুহূর্তও যাতে নষ্ট না হয়, তার জন্য সবাই মিলে চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকি, আকাশে যাতে বিমানের জ্বালানি কম পোড়ে, তার জন্য কাঙ্ক্ষিত উচ্চতায় তুলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে প্রায় প্রতিটি বিমানকেই।’’

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মেম্বার (কমিউনিকেশন অ্যান্ড নেভিগেশন) এ কে দত্ত জানান, এত সংখ্যক বিমানের গতিবিধি প্রতিদিন দক্ষতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করতে এটিসি অফিসারদের কাজ ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে। শহরের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া বিমানের গতিবিধি টাওয়ারে বসে যিনি নিয়ন্ত্রণ করেন, তাঁকে আর এরিয়া কন্ট্রোল-এ বসে শহরে নামতে আসা বিমানের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের কাজ করতে হবে না। আগে একই ব্যক্তি কখনও টাওয়ারে বসতেন, কখনও এরিয়া কন্ট্রোলে বসতেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE