বিচারক তাঁর রায়ে ডাক্তারের এই আচরণ ‘বর্বরতা’ বলে মন্তব্য করেছেন। প্রতীকী ছবি।
চিকিৎসার অছিলায় বালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এ বার সাজা পেলেন জনৈক হোমিয়োপ্যাথ ডাক্তার। মঙ্গলবার শিয়ালদহে পকসো বিশেষ আদালতের বিচারক জীমূতবাহন বিশ্বাস তাঁকে পাঁচ বছরের কারাবাসের সাজা দিয়েছেন। আদালত সূত্রের খবর, পার্থ হুই নামে ওই চিকিৎসক বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার একটি চেম্বারে প্র্যাকটিস করতেন। গত ২৪ সেপ্টেম্বর ৮ বছরের এক বালিকার যৌন হেনস্থা অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগকারিণী ৮ বছরের এক বালিকা। তাঁর বাবা নেই। মায়ের সঙ্গে দাদু-দিদার বাড়িতে সে থাকে। পেটের গোলমালের জেরে বৃদ্ধা দিদিমাকে সঙ্গে নিয়েই স্থানীয় একটি চেম্বারে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিল সে। ওই ডাক্তার প্রথমে তাকে এক বার পরীক্ষা করেন। ফি নেওয়ার পরে আবার তিনি বালিকটিকে ভিতরে ডেকে পাঠান।। অভিযোগ, ওই সময়ে বালিকার দিদিমাকে তিনি বাইরে থাকতে বলেন। এর পরে বাচ্চাটির কান্না শুনে দিদিমা ঘরে ঢোকেন। তাঁর সঙ্গে ডাক্তারের বচসা বাঁধে। শিশুটির অভিযোগের ভিত্তিতে সে দিনই ওই ডাক্তারকে গ্রেফতার করে বেনিয়াপুকুরের পুলিশ।
বিচারক তাঁর রায়ে ডাক্তারের এই আচরণ ‘বর্বরতা’ বলে মন্তব্য করেছেন। স্থানীয় ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পড়ুয়া বালিকার জন্য এটি তীব্র আতঙ্কের অভিজ্ঞতা বলে বিচারকের পর্যবেক্ষণ। শিশুদের যৌন নির্যাতনে সুরক্ষা আইন তথা পকসো (প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস অ্যাক্ট)-র ১০ নম্বর ধারায় ওই চিকিৎসকের পাঁচ বছরের কারাবাসের শাস্তি হয়েছে। তা ছাড়া, কলকাতার আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষকেও বাচ্চাটিকে পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সাজাপ্রাপ্ত ডাক্তারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ছ’মাসের জেল। সাজাপ্রাপ্ত চিকিৎসকের পেশাগত পরিসরে তাঁর অপরাধের বিষয়টিও পুলিশ জানাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy