শ্রীনিবাস গেড্ডাম
কেটে গিয়েছে তিন দিন। হাসপাতালে চিকিৎসক-নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্ত ওসি-র বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত কত দূর এগিয়েছে, জানা যায়নি। থানায় দায়ের হওয়া লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কী করছে, মেলেনি তার উত্তরও।
শনিবার চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠন জানিয়েছে, আজ, রবিবারের মধ্যে কোনও পদক্ষেপ করা না হলে সোমবার তারা মিছিল করে প্রতিবাদ জানাতে যাবে আলিপুর থানায়। মঙ্গলবার থেকে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগে পরিষেবা বন্ধ রাখার কর্মসূচিও রয়েছে।
বুধবার রাতে যাদবপুর থানার ওসি পুলক দত্তের বিরুদ্ধে একবালপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালের এক চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ ওঠে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। বিষয়টি ‘দেখে নেবেন’ বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। অভিযোগ, তার পরেও ওই চিকিৎসককে অপহরণের হুমকি দিয়ে গিয়েছেন পুলকবাবু। বৃহস্পতিবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়। সে দিন বিকেল পর্যন্ত পুলিশ পদক্ষেপ না করায় হাসপাতালের তরফে ডিসি (দক্ষিণ)-র কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে ডিসি-র অফিসেই অভিযুক্ত ওসি অভিযোগকারী চিকিৎসক শ্রীনিবাস গেড্ডামের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। এ দিন শ্রীনিবাস জানান, পুলিশ ক্ষমা চাইলেই সব মিটে যাবে না। যা ঘটেছে, তার তদন্ত হোক আইনি পথেই। তিনি বলেন, ‘‘আইনি পথে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত আইনি পথেই হোক। ক্ষমা গ্রহণ করলেও অভিযোগ তুলে নেওয়ার প্রশ্ন নেই।’’ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও জানিয়েছেন, তাঁরা চান, আইনি পথেই ঘটনার তদন্ত হোক।
যদিও লালবাজারের শীর্ষ কর্তারা দাবি করেছেন, আলোচনার পরে ঝামেলা মিটে গিয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, শুক্রবারের আলোচনায় অভিযোগকারীদের উপরে চাপ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, আইনি লড়াইয়ে দীর্ঘ সময় লাগবে। হয়রানিও হবে। তবু অভিযোগকারী অভিযোগ তুলে নিতে নারাজ। পুলিশের তরফে এ দিন তদন্তের বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy