মায়ের সঙ্গে উমর শেখ। বুধবার, এন আর এসে। নিজস্ব চিত্র
ফের এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কুকুর কামড়ানোর ঘটনা। এ বার আক্রান্ত আট বছরের এক বালক।
অভিযোগ উঠেছে, চিকিৎসার খাসমহলে থেকেও বুধবার এন আর এস হাসপাতালে কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত বালকটিকে জলাতঙ্কের টিকা দেওয়া যায়নি। চরম হয়রানির মুখোমুখি হয়ে বালকটির মা বাধ্য হন সন্তানকে টিকা দিতে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ছুটতে। ঘটনার পরে তাই প্রশ্ন উঠেছে এন আর এসে কুকুরের উপদ্রব ঠেকাতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে। একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে কেন একের পর এক ঘটনার পরেও সেখানে জলাতঙ্কের টিকা অমিল— তা নিয়েও।
এ দিন সকালে উমর শেখকে নামে ওই বালক তার মা ফুলমতী বিবির সঙ্গে এন আর এসের বহির্বিভাগে লাইনে দাঁড়িয়েছিল। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির বাসিন্দা ওই বালককে কুকুর কামড়ানোর পরে তার পা থেকে রক্ত বেরোতে থাকে। ফুলমতির অভিযোগ, ওই অবস্থায় ছেলেকে নিয়ে তিনি হাসপাতালের ছোটাছুটি করেও জলাতঙ্কের টিকা কোথায় পাবেন তা জানতে পারেননি।
ফুলমতির অভিযোগ, ‘‘জরুরি বিভাগ জানাল হাসপাতালে জলাতঙ্কের টিকা নেই। বেলেঘাটায় আইডি হাসপাতালে যেতে।’’ আইডিতে গিয়ে ছেলেকে টিকা দেওয়ান ফুলমতি।
কয়েক সপ্তাহ আগে এন আর এসে সুপারের অফিসের সামনেই হাসপাতালের এক কর্মীর চার বছরের শিশুকন্যাকে কুকুর কামড়ায়। তখনও অভিযোগ উঠেছিল, এন আর এসে জলাতঙ্কের টিকা না থাকায় আক্রান্ত বাচ্চাটিকে পাঠানো হয়েছিল বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। প্রশ্ন উঠেছিল, মেডিক্যাল কলেজ হওয়া সত্ত্বেও কেন এন আর এসে জলাতঙ্কের টিকা থাকে না? এন আর এসে কুকুর-বেড়ালের ঘোরাফেরা নিয়ে বারবার অভিযোগ ওঠার পরেও কেন হাসপাতাল সতর্ক হচ্ছে না?
ঘটনাচক্রে এ দিনই আবার এন আর এসে কুকুরছানা খুনের ঘটনার এক মাস পূর্ণ হয়েছে। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’জন পড়ুয়াকে পুলিশ গ্রেফতারের পরে নার্সিং পড়ুয়ারা পাল্টা অভিযোগ করেছিলেন যে ৩৫ জন পড়ুয়া কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত। তা সত্ত্বেও হাসপাতাল টিকার ব্যবস্থা করেনি।
এ দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে কথা বলতে হাসপাতালের সুপার সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বারবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনও উত্তর দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy