প্রতীকী ছবি।
নতুন নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জির বিরুদ্ধে মিছিলে হাঁটায় বিজেপি কর্মীরা তাঁকে মারধর করেছেন বলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন এক নাট্যকর্মী। হাওড়ার নিশ্চিন্দার বাসিন্দা কৌশিক চৌধুরীর অভিযোগ, গত সোমবার কলকাতায় এক শিক্ষক সংগঠনের ডাকা মিছিলে যোগ দিয়ে ফেরার সময়ে সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনের কাছে তাঁকে মারধর করেন কয়েক জন বিজেপি কর্মী। বুধবার রাতে বৌবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন কৌশিক। রাতেই তাঁকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
ওই শিক্ষক সংগঠন গত সোমবার ধর্মতলা থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ পর্যন্ত এনআরসি-বিরোধী মিছিলের ডাক দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার কৌশিক বলেন, ‘‘মিছিল শেষে আমি একাই চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ধরে সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ শুনি, কয়েক জন আমাকে গালিগালাজ করছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আমি ঘুরে তাকাতেই ওরা প্রথমে ধাক্কা দেয়। পরে চড় মারে। চুলের মুঠি ধরে ফেলে দেয়। ঘুষিও মারে। আক্রমণকারীদের এক জনের নাম শুনেছিলাম রাজকুমার। প্রায় এক-দেড় মিনিট ধরে চলে মারধর। এর পরেই এক হামলাকারী অন্য এক জনের উদ্দেশে বলে, ‘রাজকুমার ভাই, ছোড় দিজিয়ে’।’’ কৌশিকের অভিযোগ, এর আগে হাওড়া স্টেশনেও তাঁর উপরে হামলা হয়েছিল। তখন গোলাবাড়ি থানায় অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
অভিযোগপত্রে ওই নাট্যকর্মী লিখেছেন, ‘হামলাকারীরা নিজেদের বিজেপি কর্মী বলে দাবি করছিল। আমায় হুমকি দিয়ে বলে, প্রতিবাদ করে লাভ হবে না। বেশি পাকামো করলে মেরে ফেলব। প্রতিবাদ বন্ধ না করলে আমাকে পরিবার-সহ হত্যা করা হবে।’ কৌশিকের আরও অভিযোগ, আক্রমণকারীরা নিজেদের বিজেপির এক সাংসদ তথা শীর্ষ রাজ্য নেতার ‘লোক’ বলেও দাবি করছিল।
এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘এমন ঘটনার কথা জানি না। হামলাকারীরা বিজেপি, সেটাই বা জানা গেল কী ভাবে? এমনও তো হতে পারে, অভিযোগকারী অপকর্ম করতে গিয়ে মার খেয়েছেন। আমরা কোনও মারধরকেই সমর্থন করি না। যদি উনি নির্দিষ্ট কারও নামে প্রমাণ-সহ অভিযোগ করেন, আমরা সেই কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy