Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

ভিড় ও থিমের লড়াইয়ে উৎসব কাপ উত্তরের

কিন্তু এ বার উৎসব কাপে সেই থিম-যুদ্ধে এবং ভিড় টানার লড়াইয়ে চুলচেরা হিসেবে দক্ষিণ কলকাতাকে হারিয়ে দিল উত্তরের পুজো কমিটিগুলি।

বাবুঘাট এলাকায় তৎপর জল-পুলিশ। নিজস্ব চিত্র

বাবুঘাট এলাকায় তৎপর জল-পুলিশ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৮ ০০:৫৫
Share: Save:

শেষ হাসি হাসল উত্তরই!
থিম পুজো আমদানি করে কলকাতার উৎসবে নতুন মাত্রা যোগ করেছিল দক্ষিণ কলকাতা। কিন্তু এ বার উৎসব কাপে সেই থিম-যুদ্ধে এবং ভিড় টানার লড়াইয়ে চুলচেরা হিসেবে দক্ষিণ কলকাতাকে হারিয়ে দিল উত্তরের পুজো কমিটিগুলি।
থিমের লড়াইয়ে এ বার বেশি করে নজর কেড়েছে উত্তর কলকাতার পুজো। কাশী বোস লেনের বারান্দা, নবীন পল্লির লাইব্রেরি, টালা পার্ক প্রত্যয়ের যন্ত্রসভ্যতা, হাতিবাগান সর্বজনীনের প্রযুক্তির দাসত্ব ভিড় তো টেনেছেই। কম যায়নি আহিরীটোলা সর্বজনীনের পুরনো রাজবাড়ি। রোজ ভিড় উপচে পড়েছে শ্রীভূমির মণ্ডপে। খাস কলকাতার বাইরে অর্জুনপুরের আমরা সবাই ক্লাবের মণ্ডপেও এ বার নজরকাড়া ভিড় ছিল। সামাজিক বার্তায় লোকের মন জয় করেছে দমদম পার্ক তরুণ সঙ্ঘ।
দক্ষিণে চোখ টেনেছে চেতলা অগ্রণী, মুদিয়ালি, ত্রিধারা, হিন্দুস্থান পার্কের ভিড়ও। নতুন ভাবে উঠে এসেছে গড়িয়ার মিতালি সঙ্ঘ। তবে সুরুচি সঙ্ঘের রাস্তায় এ বার যানজট হয়নি। কম ভিড়ই তার কারণ কি না, সেই প্রশ্ন অনেকের মনে ঘুরপাক খেয়েছে। দক্ষিণে এ বার ভিড় ঘুরপাক খেয়েছে মূলত রাসবিহারী চত্বরে। তার বাইরে তেমন ভিড় নজরে পড়েনি। তবু টক্কর চলছিল। পুজো ময়দানের খবর, গত কয়েক বছরে মহানবমীর রাতে উত্তর কলকাতা তুলনায় খালি থাকত। কিন্তু এ বছর দশমীর ভোর পর্যন্ত উত্তর কলকাতার বিভিন্ন মণ্ডপে ভিড় ঘুরপাক খেয়েছে। পুজো-শিল্পের সমঝদারেরাও বলছেন, থিম ভাবনার অভিনবত্বে এ বার এগিয়ে ছিল উত্তর কলকাতাই।

আরও পড়ুন: লাইনে দাঁড়িয়েই রাবণ পোড়ানো দেখছিল জনতা, পিষে দিল ট্রেন, অমৃতসরে মৃত অন্তত ৬০

এ বার বাগবাজার, একডালিয়া, ম্যাডক্স স্কোয়ার, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের ভিড় বুঝিয়ে দিয়েছে, থিমের সঙ্গে লড়াইয়ে নতুন ভাবে ফিরে আসছে সাবেকিরাও। ভিড়ের চরিত্রেও কিছুটা বদল লক্ষ করা গিয়েছে। অষ্টমী-নবমীর রাতে বহু ছোট পুজোর মণ্ডপেও ভিড় জমেছিল।
এ-সবের মধ্যেই শুক্রবার শুরু হয়ে যায় বিদায়ের পালা। দুপুর থেকেই বাবুঘাট, নিমতলা-সহ গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে বিসর্জন শুরু হয়। বাড়ির পুজোর প্রতিমাই বেশি। লালবাজারের খবর, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শ’চারেক প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। আদালতের নির্দেশ মেনে ফুলমালা ঘাটের পাশে জমা করা হচ্ছে। প্রতিমা জলে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা তুলে ফেলা হচ্ছে ক্রেন দিয়ে।

আরও পড়ুন: আটকে রেখে ১০ দিন ধরে গণধর্ষণ, কোণার্কে উদ্ধার কলকাতার তরুণী

বিসর্জনের শোভাযাত্রায় গোলমাল ঠেকাতে রয়েছে ব্যাপক পুলিশি নজরদারি। শব্দবাজি ও পেল্লাই সাউন্ড বক্স (ডিজে বক্স) এখন নিষিদ্ধ।
অনেক বড় পুজোরই বিসর্জন এ দিন হয়নি। আজ, শনিবার অনেকেই প্রতিমা ভাসান দেবেন না। কাল, রবিবার প্রচুর ঠাকুর বিসর্জন দেওয়া হবে। রেড রোডের দুর্গা কার্নিভালে যে-সব কমিটি সুযোগ পেয়েছে, তারা ভাসান দেবে মঙ্গলবার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE