প্রতীকী ছবি।
পুজোর মুখে খরচ কমছে রেস্তরাঁয় ভূরিভোজের। অতিমারি পরিস্থিতিতে আতিথেয়তা-শিল্পের এমন ঘোর দুর্যোগে বাঁচার মন্ত্র হিসেবে কিছু নতুন পরিকল্পনার পথে হাঁটছে অনেক রেস্তরাঁই। নয়া ভাবনায়, ৫০০ টাকার বেশি খাবারের বিল হলে মিলছে শতকরা ২০ শতাংশ ছাড়। ‘হোটেল অ্যান্ড রেস্তরাঁ অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’র শতাধিক সদস্য এই নতুন পরিকল্পনায় সায় দিচ্ছে। তবে ছুটির দিন (এর মধ্যে ২১-২৫ অক্টোবর পুজোর পাঁচ দিন) বা শনি-রবি এই সুযোগ মিলবে না।
ইতিমধ্যেই হোটেল-রেস্তরাঁ সংগঠনের সদস্য কলকাতার কয়েকটি পাঁচতারা হোটেল এবং পার্ক স্ট্রিটে শহরের কয়েকটি সাবেক রেস্তরাঁও এই উদ্যোগে শামিল হয়েছে। তবে শুধু খাবারের উপরেই এই ছাড় মিলবে। মদ্যপানে নয়।
‘হোটেল অ্যান্ড রেস্তরাঁ অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’র কর্তা সুদেশ পোদ্দারের কথায়, ‘‘গত অগস্টে বিলেতে বিভিন্ন হোটেল-রেস্তরাঁর এমন একটি উদ্যোগ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছি। কলকাতা শহরেই অন্তত ৫০টি রেস্তরাঁ এই পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ‘ডাইন আউট টু হেল্প আউট’ (ডোহো) ডাক দিয়ে ২০ শতাংশ ছাড়ের পথে হাঁটছি। সপ্তাহান্ত ছাড়া অন্য দিনেও রেস্তরাঁর ব্যবসা কিছুটা লক্ষ্মীর মুখ দেখবে, আশা করছি।’’
সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে রেস্তরাঁর খাবারে ছাড়ের মরসুম। চলবে আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত। কলকাতার বাইরে শিলিগুড়ি, কালিম্পং ও বর্ধমানের কয়েকটি তারকা হোটেলও এই ছাড়ের প্রস্তাবে সম্মত। রেস্তরাঁ অ্যাসোসিয়েশনের কর্তাদের আশা, কলকাতায় সক্রিয় চিনে বা মোগলাই রান্নার কয়েকটি চেন-রেস্তরাঁ এই ছাড়ের পথে হাঁটবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যে যাঁরা সই করেছেন, তাঁরা ছাড়াও আরও অনেকের সঙ্গে কথা চলছে। আপাতত শতাধিক রেস্তরাঁ ছাড় দিলেও সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy